কোটারঞ্চকের নাবিকরাই পণ্য পাচার করে বহির্নোঙরে জলদস্যুতার
মিথ্যা অভিযোগ দেয় ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ব্যুরোতে
চট্টগ্রাম: গত ২৮ জুন ২০২২ তারিখে সিঙ্গাপুর পতাকাবাহী কন্টেইনার জাহাজ এমভি কোটা রঞ্চক থেকে মালয়েশিয়া ভিত্তিক নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ব্যুরো বরাবরে চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে পাইরেসি সংগঠিত হয়েছে মর্মে একটি অভিযোগ দাখিল করে। কথিতে এই পাইরেসির বিষয়ে এমভি কোটা রঞ্চক এর মাষ্টার বা কোনো নাবিক চট্টগ্রাম বন্দরের পোর্ট কন্ট্রোল বা কোষ্ট গার্ডকে অবহিত করেনি। আইএমবিএ হতে কোষ্টগার্ড বরাবরে প্রেরিত ই-মেইল প্রাপ্তির পর চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যানের অনুরোধে কোষ্ট গার্ড পূর্ব জোনের একটি চৌকস দল জাহাজটিতে গমনপূর্বক কথিত পাইরেসির বিপরীতে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে। অনুসন্ধানে সরেজমিনে জানা যায় যে, জাহাজের নাবিকদের যোগসাজশে স্থানীয় ভেন্ডরের কাছে জাহাজ থেকে কিছু রশি এবং তেল বিক্রি করা হয়। কোষ্টগার্ড চিরুনি অভিযান পরিচালনা করে বিক্রিত পণ্যসমূহ আটক করতঃ জাহাজের নাবিক ও ভেন্ডরদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে জাহাজের নাবিক এবং ক্রয়কারী ভেন্ডর স্বীকার করেন যে, ডলারের বিনিময়ে এমভি কোটা রঞ্চক জাহাজ থেকে উক্ত পণ্যসমূহ নামানো হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে অবস্থানকালীন উল্লিখিত জাহাজের নাবিকদের সহযোগিতায় সংগঠিত এই অপরাধ কর্মটি সম্পাদনপূর্বক তা গোপন করার লক্ষ্যে পাইরেসি রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছে মর্মে কোষ্টগার্ড এর রিপোর্ট এ উঠে এসেছে।
আন্তর্জাতিক জাহাজ ও বন্দর নিরাপত্তা কোড (আইএসপিএস)-এর ৯ নং ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ কোষ্টগার্ড, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও নৌ বানিজ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম আলোচ্য বিষয়টি অনুসন্ধানের নিমিত্তে এমভি কোটা রঞ্চক জাহাজে গমন করেন। এই বিষয়ে উক্ত জাহাজের মাষ্টার আইএমবিএ তে দাখিলকৃত অভিযোগটি ভুল মর্মে স্বীকার করেন এবং বলেন যে, গত ২৮/০৬/২২ তারিখে উক্ত জাহাজে কোনরূপ পাইরেসি কিংবা অন্যকোন ঘটনা সংগঠিত হয়নি। এছাড়াও তিনি আইএমবিএ বরাবরে প্রেরিত রিপোর্টটিও প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
উল্লেখ্য যে, ২০১৯-২০২১ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় কোনো চুরি, ডাকাতি, জলদস্যুতা ঘটেনি। চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃনোঙ্গর ও উপকূলীয় অঞ্চল একটি নিরাপদ এলাকা হিসেবে বহির্বিশ্বে সুখ্যাতি রয়েছে। একটি দুষ্ট চক্র এ-ধরনের ভুয়া পাইরেসি রিপোর্ট দাখিল করে চট্টগ্রাম বন্দরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১২ সালে সিঙ্গাপুর ভিত্তিক অপর বিশ্ব নৌ নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক সংস্থা রিক্যাপ কর্তৃক অনুসন্ধানেও ৬টি ভুয়া পাইরেসি রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছে মর্মে প্রমাণিত হয়েছে। জুলাই, ২০০৪ সাল হতে আইএসপিএস কোড বাস্তবায়নের পর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঈর্ষনীয় উন্নতি হতে থাকে। ২০১৯ সাল থেকে রিক্যাপ চট্টগ্রাম বন্দরকে শূণ্য পাইরেসি বন্দর হিসেবে ঘোষণা করে। আলোচ্য জাহাজ হতে দাখিলকৃত ভুয়া রিপোর্ট উদঘাটনে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বন্দর নিরাপত্তা পরিকল্পনা হালনাগাদ করেন এবং আন্তর্জাতিক বন্দর ও জাহাজ নিরাপত্তা কোড অনুযায়ী বন্দরের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করেন। বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আধুনিকায়নে তাঁর গৃহীত পদক্ষেপ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহল যেমনঃ ইউএস কোষ্টগার্ড, রিক্যাপ প্রমুখ থেকে ভূয়সী প্রশংসিত হয়েছে। উল্লেখ্য যে, ইতোপূর্বে বন্দরের চেয়ারম্যান ১১৫৯ কন্টেইনারবাহী জাহাজ এমভি হাইয়ান সিটি কে আংশিক ডুবন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ জাহাজ চলাচলের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।বন্দর চেয়ারম্যানের সাহসী ভূমিকায় পাইরেসী অপবাদের হাত থেকে রক্ষা পেলো দেশ।
গত ২৮ জুন ২০২২ তারিখে সিঙ্গাপুর পতাকাবাহী কন্টেইনার জাহাজ এমভি কোটা রঞ্চক থেকে মালয়েশিয়া ভিত্তিক নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ব্যুরো বরাবরে চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে পাইরেসি সংগঠিত হয়েছে মর্মে একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়। উক্ত কথিত পাইরেসির বিষয়ে এমভি কোটা রঞ্চক এর মাষ্টার বা কোনো নাবিক চট্টগ্রাম বন্দরের পোর্ট কন্ট্রোল বা কোষ্ট গার্ডকে অবহিত করেনি। আইএমবিএ হতে কোষ্টগার্ড বরাবরে প্রেরিত ই-মেইল প্রাপ্তির পর চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যানের অনুরোধে কোষ্ট গার্ড পূর্ব জোনের একটি চৌকস দল জাহাজটিতে গমনপূর্বক কথিত পাইরেসির বিপরীতে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে। অনুসন্ধানে সরেজমিনে জানা যায় যে, জাহাজের নাবিকদের যোগসাজশে স্থানীয় ভেন্ডরের কাছে জাহাজ থেকে কিছু রশি এবং তেল বিক্রি করা হয়। কোষ্টগার্ড চিরুনি অভিযান পরিচালনা করে বিক্রিত পণ্যসমূহ আটক করতঃ জাহাজের নাবিক ও ভেন্ডরদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে জাহাজের নাবিক এবং ক্রয়কারী ভেন্ডর স্বীকার করেন যে, ডলারের বিনিময়ে এমভি কোটা রঞ্চক জাহাজ থেকে উক্ত পণ্যসমূহ নামানো হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে অবস্থাকালীন উল্লিখিত জাহাজের নাবিকদের সহযোগিতায় সংগঠিত এই অপরাধ কর্মটি সম্পাদনপূর্বক তা গোপন করার লক্ষ্যে পাইরেসি রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছে মর্মে কোষ্টগার্ড এর রিপোর্ট এ উঠে এসেছে।
আন্তর্জাতিক জাহাজ ও বন্দর নিরাপত্তা কোড (আইএসপিএস)-এর ৯ নং ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ কোষ্টগার্ড, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও নৌ বানিজ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম আলোচ্য বিষয়টি অনুসন্ধানের নিমিত্তে এমভি কোটা রঞ্চক জাহাজে গমন করেন। এই বিষয়ে উক্ত জাহাজের মাষ্টার আইএমবিএ তে দাখিলকৃত অভিযোগটি ভুল মর্মে স্বীকার করেন এবং বলেন যে, গত ২৮/০৬/২২ তারিখে উক্ত জাহাজে কোনরূপ পাইরেসি কিংবা অন্যকোন ঘটনা সংগঠিত হয়নি। এছাড়াও তিনি আইএমবিএ বরাবরে প্রেরিত রিপোর্টটিও প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। উল্লেখ্য যে, ২০১৯-২০২১ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় কোনো চুরি, ডাকাতি, জলদস্যুতা ঘটেনি। চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃনোঙ্গর ও উপকূলীয় অঞ্চল একটি নিরাপদ এলাকা হিসেবে বহির্বিশ্বে সুখ্যাতি রয়েছে। একটি দুষ্ট চক্র এ-ধরনের ভুয়া পাইরেসি রিপোর্ট দাখিল করে চট্টগ্রাম বন্দরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১২ সালে সিঙ্গাপুর ভিত্তিক অপর বিশ্ব নৌ নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক সংস্থা রিক্যাপ কর্তৃক অনুসন্ধানেও ৬টি ভুয়া পাইরেসি রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছে মর্মে প্রমাণিত হয়েছে। জুলাই, ২০০৪ সাল হতে আইএসপিএস কোড বাস্তবায়নের পর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঈর্ষনীয় উন্নতি হতে থাকে। ২০১৯ সাল থেকে রিক্যাপ চট্টগ্রাম বন্দরকে শূণ্য পাইরেসি বন্দর হিসেবে ঘোষণা করে। আলোচ্য জাহাজ হতে দাখিলকৃত ভুয়া রিপোর্ট উদঘাটনে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বন্দর নিরাপত্তা পরিকল্পনা হালনাগাদ করেন এবং আন্তর্জাতিক বন্দর ও জাহাজ নিরাপত্তা কোড অনুযায়ী বন্দরের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করেন। বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আধুনিকায়নে তাঁর গৃহীত পদক্ষেপ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহল যেমনঃ ইউএস কোষ্টগার্ড, রিক্যাপ প্রমুখ থেকে ভূয়সী প্রশংসিত হয়েছে। উল্লেখ্য যে, ইতোপূর্বে বন্দরের চেয়ারম্যান ১১৫৯ কন্টেইনারবাহী জাহাজ এমভি হাইয়ান সিটি কে আংশিক ডুবন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ জাহাজ চলাচলের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
– সংবাদ বিজ্ঞপ্তি