বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার ফার্মাসিউটিক্যালস এবং জার্মানির বায়োনটেকের উদ্ভাবিত কোভিড-১৯ টিকাকে যথেষ্ট নিরাপদ দাবি করে বলেছে, এই টিকা মানবদেহে ব্যবহারের পর যথেষ্ট অর্থাৎ ৯০ ভাগ ?সুরক্ষা দেয়ার পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই দাবির ভিত্তিতে ফাইজার টিকাটি যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ প্রশাসন (এফডিএ) থেকে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের জন্য আবেদন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ফাইজার ও বায়োনটেক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকা সরবরাহে এরই মধ্যে ১৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপানের সঙ্গেও চুক্তি সই হয়েছে। এই টিকার উৎপাদন শুরু হয়ে গেছে। ২০২০ সালেই প্রতিষ্ঠান দুটি পাঁচ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদন করতে চায়। প্রতিষ্ঠান দুটি আশা করছে, এ বছরের শেষ নাগাদ ৫ কোটি ডোজ সরবরাহ করতে সক্ষম হবে তারা। ২০২১ সালের শেষ নাগাদ সরবরাহ করা যাবে প্রায় ১৩০ কোটি ডোজ।
রাশিয়ার তৈরি করোনা প্রতিষেধক স্পুটনিক-ভি ৯৫ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করেছে রুশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যুক্তরাষ্ট্রের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রস্তুত করা অ্যাস্ট্র্যাজেনাক প্রতিষেধক ৭০ শতাংশ কার্যকর বলে ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আরেক ওষুধ কোম্পানি মডার্না গত ১৬ নভেম্বর তাদের করোনা টিকার তৃতীয় ধাপের প্রাথমিক ফল প্রকাশ করে দাবি করেছে, তাদের টিকা পরীক্ষার প্রাথমিক ফলে ৯৪ দশমিক ৫ শতাংশ কার্যকারিতা দেখা গেছে।
চিনা সংস্থা সাইনোভ্যাক বায়োটেক দাবি করেছে, তাদের তৈরি কোভিড-১৯ টিকা ‘করোনাভ্যাক’ নিরাপদ এবং অ্যান্টিবডি তৈরিতে ভালো সাড়া দিয়েছে। সাইনোভ্যাক-এর এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে ‘দ্য ল্যানসেট ইনফেকশাস ডিজিস’ জার্নালে। চীন, ব্রাজিল ও তুরস্কসহ কয়েকটি দেশে প্রায় দশ লাখ মানুষকে করোনাভ্যাক টিকা দেয়া হয়েছে দাবি করে সাইনোভ্যাক বায়োটেক কর্তৃপক্ষ বলেছে, টিকা নেয়া কারোর মধ্যেই করোনা সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের লক্ষ্যে বিশ্বজুড়ে ১৪০টিরও বেশি গবেষণার কাজ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ভ্যাকসিন চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অর্থাৎ করোনা প্রতিরোধে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
চীনে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর খুব দ্রুতসময়ের মধ্যে তা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১৭টি দেশ ও অঞ্চলে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিশ্বে ছয় কোটি দুই লাখ ৪২ হাজার ৬৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে বিশে^ করোনায় ১৪ লাখ ১৭ হাজার ৮৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর বাংলাদেশে ৮ মার্চ প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। বুধবার পর্যন্ত দেশে চার লাখ ৫৪ হাজার ১৪৬ জনের করোনা শনাক্ত এবং ছয় ৪৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।