বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: মহামারি করোনাভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অতি ক্ষুদ্র এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য জরুরি তহবিল গঠনের আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
প্রস্তাবের মধ্যে আরও রয়েছে: যে সব অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা (এমএসএমই) সরকারি জায়গায় ভাড়া থাকেন, সেখানে ৬ মাসের জন্য ভাড়া মওকুফ করা, এমএসএমই’র জন্য প্রদত্ত ঋণের সুদ আগামী ১ বছরের জন্য মওকুফ করা, ২০১৯-২০ অর্থবছরের আয়কর জমাদান এ বছর স্থগিত রাখা ইত্যাদি।
ঢাকা চেম্বার বলেছে, করোনায় ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মারাত্মকভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে ব্যবসায়ীদের এই সংগঠন বলছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি, রপ্তানিমুখী শিল্প কলকারখানা, স্থানীয় বাজার নির্ভর উৎপাদন খাত, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পখাত, সেবা খাত, অতি ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসায়, ট্রেডিং নির্ভর ব্যবসা, পরিবহন ব্যবসা, হোটেল, রেঁস্তোরা, মুদি দোকান, অপ্রচলিত খাত যেমন ভাসমান অতি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও দোকান-পাট উদ্ভুত এ পরিস্থিতিতে মারাত্নকভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। এমতাবস্থায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে সরকার অত্যন্ত সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। রপ্তানিমুখী শিল্প সুরক্ষায় শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের সুবিধার্থে ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করেছে সরকার। এতে রপ্তানিমুখী শিল্পের কার্যাদেশ বাতিল, পণ্য পাঠাতে বিলম্ব এবং রপ্তানি আদেশ কমে যাওয়ায় তাদের যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে সহায়তা করবে।
এসএমই খাত অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও করোনার প্রভাবে ব্যবসার মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। অর্থনীতির সব স্তরে এমএসএমই’র অর্ন্তভুক্ত সব খাতই ক্ষতিগ্রস্থ। অনেক এমএসএমই সীমিত বেচা-কেনা ও পুঁজি সংকটের কারণে খুব খারাপ সময় অতিবাহিত করছে। তাই সময়মত শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করতে পারছে না। যা বেকারত্ব বৃদ্ধির আশংকা তৈরি করছে। এ দুঃসময়ে ঢাকা চেম্বার সরকারকে স্থানীয় এমএসএমই’র ব্যবসায়ীক কর্মকাণ্ডকে স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা ও এমএসএমই সুরক্ষায় স্বল্প এবং মধ্য মেয়াদি আর্থিক, অনার্থিক নীতিপরিকল্পনানির্ভর সহায়তা প্রদান করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে।
আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া এমএসএমই এবং অপ্রচলিত খাতের সুরক্ষায় বেতন-ভাতা পরিশোধের সুযোগ করে দিতে ডিসিসিআই সরকারকে ১ শতাংশ সুদে ৩ বছর মেয়াদি একটি জরুরী তহবিল গঠন করতে বিশেষভাবে আহ্বান জানিয়েছে। যে সব এমএসএমই’র বার্ষিক টার্নওভার ১ কোটি টাকা, তাদের জন্য ১ শতাংশ আর যে সকল এমএসএমই’র বার্ষিক টার্নওভার ১ কোটি টাকার উপর তাদের জন্য ২ শতাংশ সুদে উক্ত তহবিল থেকে ঋণ দেয়া যেতে পারে বলেও প্রস্তাব করেছে তারা।