বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: ডিইপিজেডসহ শিল্পাঞ্চল সাভার-আশুলিয়ার অধিকাংশ কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এক মাস বন্ধ রাখার পর খুলে দেয়া হলো। রবিবার সকাল থেকে শ্রমিকরা দলে দলে নিজেদের কর্মস্থলে যোগ দিয়েছে।
এর আগে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে এবং শ্রমিকদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে গত ২৬ মার্চ থেকে সকল পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানায় বিজিএমইএ। প্রতিটি কারখানায় চাকুরী বাঁচাতে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিলেও তাদের ভেতরেও রয়েছে করোনা আতঙ্ক। জনসমাগমের কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকায় যে কোন সময় তাদের মাঝেও ভাইরাসের সংক্রমন হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে শ্রমিকরা। তবে মালিকপক্ষের দাবি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই কারখানা চালু করা হয়েছে।
তৈরী পোশাক শ্রমিক মাকসুদা আক্তার বলেন, শনিবার রাতে সুপারভাইজার ফোন করে বলেছেন রবিবার থেকে কারখানা চালু হবে। কারখানায় উপস্থিত না থাকলে চাকরি থাকবে না তাই গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গ্রামের বাড়ি থেকে চলে এসেছি।
শ্রমিক সুরাইয়া বেগম বলেন, চাকরি না থাকলেতো না খেয়ে মরতে হবে। তাই অফিসের ফোন পাওয়ার সাথে সাথে সিরাজগঞ্জ থেকে সাভারে আসি। রাস্তায় গাড়ি নেই। কখনও ট্রাকে, কখনও পিকআপে, অটোরিকশায় করে আবার কখনো পায়ে হেঁটে প্রায় ১৬ ঘণ্টায় সাভারে পৌছেছি।
করোনা ঝুঁকির মধ্যে পোশাক কারখানা খুলে দেয়ার বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন শ্রমিক নেতারা। কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে শ্রমিক নেতা ইব্রাহিম বলেন, বহির্বিশ্বের অনেক দেশেই অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে পোশাক কারখানা খোলা রয়েছে। আমরা যদি এই মুহূর্তে কারখানাগুলো খুলে না দেই তাহলে আমাদের কাজগুলো অন্যত্র চলে যাবে। তাই কারখানাগুলো খুলে দেওয়া যেমন জরুরি তেমনি শ্রমিকদের পর্যাপ্ত সুরক্ষার বিষয়ে মালিকদেরও খেয়াল রাখতে হবে বলে জানান তিনি।
গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম মিন্টু বলেন, শ্রমিকদের শতভাগ স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে রবিবার থেকে কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নেয়ায় তা শ্রমিকদের জীবনের জন্য ঝুকিপূর্ণ এবং আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।