Home কক্সবাজার মাতারবাড়ি সমুদ্র বন্দরের নকশা তৈরির কাজ শুরু

মাতারবাড়ি সমুদ্র বন্দরের নকশা তৈরির কাজ শুরু

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

চট্টগ্রাম: কক্সবাজারের মহেশখালীতে মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পের বিস্তারিত নকশা তৈরির কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।

সোমবার (১৬ নভেম্বর) বন্দর ভবনে ‘মাতারবাড়ী পোর্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ এর জাপানি কনসালট্যান্ট নিপ্পন কোয়েইর সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রথম সভার মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হলো। কনসালট্যান্ট প্রতিষ্ঠান নিপ্পন কোয়েইর কর্মকর্তারা মনে করছেন, আগামী ২০২৫ সালের মাঝামাঝি নাগাদ বন্দরের কার্যক্রম শুরু করা যাবে।

সোমবার বিকেলে বন্দর ভবনে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ।

জানান, মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের কনসালট্যান্ট প্রতিষ্ঠান জাপানের নিপ্পন কোয়েইর সঙ্গে গত ২৩ সেপ্টেম্বর চুক্তি সই হয়েছিল। আজ প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে প্রথম সভার মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো।

রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দর নির্মাণের যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল, আজ তারই ধারাবাহিকতায় কনসালট্যান্টদের সঙ্গে আমাদের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো।’

তিনি বলেন, ‘মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দর এখন আমাদের সময়ের দাবি। আপনারা জানেন চট্টগ্রাম বন্দর আমাদের অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি। আমাদের আমদানি-রফতানির ৯২ ভাগই এই বন্দর দিয়ে হয়ে থাকে। কিন্তু দেশের অর্থনীতি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তার সাথে চট্টগ্রাম বন্দরের এগিয়ে চলা সম্ভব হচ্ছে না। এর সক্ষমতা একেবারে শেষ পর্যায়ে। এর প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বন্দরের বিকল্প হিসেবে আমাদের আরও বন্দরের পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর ও পতেঙ্গা বে টার্মিনাল নিয়ে আমাদের কার্যক্রম চলছে।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ‘২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরে দুই দেশের মধ্যে বিগ-বি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মাতারবাড়ীতে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরই ফলশ্রুতিতে জাইকার অর্থায়নে নিপ্পন কোয়েই ও আমাদের স্থানীয় একটি ফার্মকে এই প্রকল্পের জন্য কনসালট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ করি। এটা শুরু হলো আজ থেকে, ইনশাআল্লাহ ২০২৬ সালে মধ্যে আমরা বন্দর কার্যক্রম শুরু করতে পারব।’

কনসালট্যান্ট প্রতিষ্ঠান নিপ্পন কোয়েইর দলপ্রধান হোতানি বলেন, ‘আমরা মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পের বিস্তারিত নকশা তৈরি ও প্রকল্প উন্নয়ন তদারকির জন্য জাপানের ৩০ জন বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী, বাংলাদেশের ১৮ জন অভিজ্ঞ প্রকৌশলী ও দেশীয় আরও ২১ জন কর্মী নিয়ে এ প্রকল্পের কাজ শুরু করতে যাচ্ছি। আমাদের দল বন্দরের নকশা প্রণয়ন, টেন্ডার দেখাশোনা ও প্রকল্প সুপারভিশনের দায়িত্ব পালন করবে।’

হোতানি জানান, পুরো প্রকল্পটি দুটি ধাপে বিভক্ত। প্রথম ধাপে প্রকল্পের প্রণয়ন, টেন্ডার দেখাশোনা ও প্রকল্প সুপারভিশনের কাজ করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে বন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি ও বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমের তদারকি করা হবে। এক্ষেত্রে আজ থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ নকশা প্রণয়ন করা হবে। ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে প্রকল্পের টেন্ডার অ্যাসিস্ট্যান্সের কাজ করা হবে। পরে ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকল্প সুপারভিশন করা হবে।