বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
গাইবান্ধা: স্ত্রীর ছোড়া ফুটন্ত গরম পানিতে ঝলসে গেছে স্বামী মোস্তাফিজুর রিপনের শরীর। চোখসহ মাথার দিকের বেশিরভাগ অংশ ঝলসে গেছে তার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোরে গাইবান্ধা শহরের সুখনগর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। মোস্তাফিজুর রহমান ওই এলাকার মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় বাসের সুপারভাইজার।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, প্রতিদিনের মতো বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান রিপন। ভোরে ঘুমন্ত রিপনের শরীরে স্ত্রী শাবানা বেগম ফুটন্ত গরম পানি ঢেলে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। এ সময় তার চিৎকারে মা দরজ খুলে দেখেন, রিপনের চোখসহ মাথার দিকের বেশিরভাগ অংশ ঝলসে গেছে। ঘটনার পর স্ত্রী বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় গুরুতর আহত অবস্থায় রিপনকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
রিপন বলেন, ১৫/১৬ বছর আগে জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার শাবানা বেগমের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের ১৩ ও ৫ বছর বয়সী দুই সন্তান আছে। তবে বিয়ের পর থেকে তাদের বিভিন্ন বিষয়ে মনোমালিন্য ছিল।
তিনি জানান, ঘটনার আগের দিন রাতে স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। ফলে ঘরে না থেকে শাবানা সারারাত ঘরের বারান্দাতেই অবস্থান করেন। ভোরে তার স্ত্রী তার (রিপন) শরীরে গরম পানি ঢেলে দিয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। এ সময় তার চিৎকারে তার মা এসে দরজা খুলে দেখেন, রিপনের চোখসহ মাথার দিকের বেশিরভাগ অংশ ঝলসে গেছে। তিনি বলেন, ঘটনার পর স্ত্রী বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে।
গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তানভীর রহমান বলেন, রিপনকে সার্জারি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তার অবস্থার অবনতি হলে আজ দুপুরেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
গাইবান্ধা সদর থানার ওসি (অপারেশন) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিষয়টি অবগত হয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। শাবানা বেগম পলাতক আছেন। তাকে ধরতে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত আছে।