মো. শাকিল মিয়া, গাইবান্ধা থেকে: সংকটে পড়েছে গাইবান্ধার তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র নদের নৌপথগুলো। পানি হ্রাস পাওয়ায় নদীগুলো হারিয়ে ফেলেছে স্বাভাবিক গতিপ্রকৃতি।
জেলার অভ্যন্তরীণ ৮০ টি নৌপথই মৃতপ্রায়। গাইবান্ধা জেলা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, তিস্তার নদীর দু’পাড়ে ছোট-বড় ৯০টি নৌঘাট থাকলেও বর্তমানে সচল আছে মাত্র ১২টি। এতে গাইবান্ধার জেলার সাথে পুর্বপাড়ের জামালুপরের বাহাদুরাবাদ, ঘুঠাইল, কুড়িগ্রামের রাজিবপুর, রৌমারী, চিলমারী আর জেলার অভ্যন্তরে এরেন্ডাবাড়ি, মোল্লারচর, ফজলুুপুর, কুন্দেরপাড়া, কাপাসিয়া, দিঘলকান্দিসহ বেশ কয়েকটি নৌঘাটের মানুষজনের সীমাহীন দুর্ভোগ বেড়েছে।
চলতি শীত মৌসুমে নভেম্বর মাসের শেষের দিকেই নৌঘাটগুলো মেইনল্যান্ড থেকে কমপক্ষে ৫ কিলোমিটার দূরে সরে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে জেলার চরাঞ্চলের প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে মানুষজনকে বিকল্প হিসাবে পায়ে হেটে, ঘোড়ার গাড়ি আবার কখনও অটো বাইকে, কাকড়া (ট্রাক্টর) চরে ৫ থেকে ১৫ কিলোমিটার অতিক্রম করে প্রয়োজনের তাগিদে নৌঘাটে যেতে হচ্ছে। এতে গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়াও।
মোল্লারচর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য হামিদা বেগম জানান, চরাঞ্চলের অন্যতম সমস্যা শুষ্ক মৌসুমে নদীতে পানি না থাকা।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী ও নদী গবেষক এম. আব্দুস সালাম জানান, নদী রক্ষায় জনগণের সাথে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকেই কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
কেননা পরিকল্পিতভাবে নদী ড্রেজিং না হলে নদীগুলো ক্রমেই অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাদেকুর রহমান জানান, উত্তরাঞ্চলের মানুষের সাথে জামালপুর, ময়মনসিংহসহ ঢাকার সাথে নৌ যোগাযোগ সবসময় সচল রাখতে নদী খনন করে নাব্য সংকট দূর করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে ।