‘মধ্যস্বত্বভোগীরা বেশি লাভের আশায় চালের দাম বাড়িয়েছে’
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে চাল ও ডিমের। নতুন করে দাম না বাড়লেও আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। তবে কমেছে আলু ও পেঁয়াজের দাম।
বাজারগুলোতে সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে গাজর। এই সবজিটি কিনতে ক্রেতাদের কেজিতে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা দিতে হচ্ছে। কেজি একশ টাকার ওপরে বিক্রি হওয়ার তালিকায় রয়েছে পাকা টমেটোও। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) নগরীর স্টিল মিল ও বন্দরটিলা বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা যায়।
চাল বিক্রেতারা বলছেন, গেল সপ্তাহের তুলনায় বাজারে প্রতি কেজি চালে দাম বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা। দাম বেড়ে বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৩ টাকা, মিনিকেট ৬২ থেকে ৬৪ টাকা, পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৬ থেকে ৭০ টাকা, পোলাওয়ের খোলা চাল আগের দামেই ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ইপিজেড বাজারের চাল বিক্রেতা ‘আল্লাহর দান চাল’ দোকানের মালিক জাভেদ মিয়ে বিজনেসটুডে২৪কে বলেন, সিন্ডিকেটের কারণে বাড়ছে চালের দাম। মধ্যস্বত্বভোগী বা পাইকাররা বেশি লাভের আশায় বিভিন্ন অজুহাতে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এর ফলে কৃষক চালের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
চালের মতো দাম বেড়ে ডিমের। ৫ টাকা দাম বেড়ে লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন ১৫০ টাকা।
এছাড়া আগের মতো ভেন্ডি এবং পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা টাকায় বিক্রি হচ্ছে।বেগুন, ঝিঙে, করলা, বরবটি, চিচিঙ্গার দাম সপ্তাহের ব্যবধানে সবগুলোরই প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। বেগুন, ঝিঙে এবং করলার কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, চিচিঙ্গার কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটির কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজির দামের বিষয়ে বন্দরটিলা বাজারের ব্যবসায়ী আলমগীর কবির বলেন, এবার বৃষ্টিতে প্রচুর সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। করোনার কারণে সবজির সরবরাহ কম। সে হিসেবে সবজির দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় কথা, তবে বাড়েনি। ঈদের পর সবজির দাম বাড়তে পারে।
দাম বেড়ে বাজারে প্রতি কেজি সোনালি (কক) মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। লেয়ার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা।