রাহাদ হাসান মুন্না,তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) থেকে: এসে গেছে শীতের বিদায়ী বার্তা, গাছে গাছে পলাশ ও আমের মুকুলের আগমনের প্রকৃতিতে আগমন ঘটেছে ঋতুরাজ বসন্তের। এরই ধারাবাহিকতায় ভাটির জনপদ হাওর বেষ্টিত এলাকার পর্যটন কেন্দ্রের অন্যতম পর্যটন স্পট সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার লালগালিচার কেন্দ্রস্থল শিমুল বাগান।’
রুপের জাদুকাটা নদী তীর ঘেঁষা মানিগাঁও এলাকায় ১০০ বিঘা জমিতে ২০০৩ সালে ৩ হাজারের অধিক সারি সারি বেঁধে শিমুলের চারা শখের বসে রোপন করেন বৃক্ষ প্রেমিক বাদাঘাট ইউনিয়নের সোহালা গ্রামের প্রয়াত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন। তার নাম অনুসারে ওই বাগানের নাম করন করা হয়েছে“জয়নাল আবেদীন শিমুল বাগান”। এই বাগানের অপার সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে দলবেঁধে আসেন দেশের একপ্রান্ত হতে অন্য প্রান্তের ভ্রমন পিয়াসু প্রকৃতি প্রেমিকগণ।
বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে দলবেঁধে ছুটে আসেন স্কুল-কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, শিক্ষিকা থেকে শুরু করে সকল শ্রেণির পেশাজীবি মানুষজন। আবার অনেকেই আসেন শিক্ষা-সফর বনভোজনে। বর্ষাকালে জাদুকাটা নদী হয়ে শিমুল বাগানে নৌ-যোগে ছুটে আসেন পর্যটকগন। বিশ্ব ভালোবাসা দিবসেও উপচে পড়া ভিড় হয় শিমুল বাগানে। নানা বাহারি নতুন পোষাক পরিধান করে সেল্ফিতে মেতে উঠেন বাগানে আসা পর্যটকগণ।
আপনিও ছুটির দিনে প্রিয়জনদের নিয়ে চলে আসতে পারেন, লাল গালিচার যৌবন-সজ্জিত দৃষ্টিনন্দন জয়নাল আবেদীন শিমুল বাগানে। কথায় আছে যদি মনকে পরিষ্কার অথবা ভালো রাখতে চান তাহলে বেছে নিন পর্যটন কেন্দ্র অথবা ভ্রমণ। যা আপনার মনকে সজীবতায় সজ্জিত করে নতুন করে চলার প্রেরণা যোগাবে।’
‘সুনামগঞ্জ সদর থেকে আসা পর্যটক নাসরিন আক্তার বলেন, শিমুল বাগানে না আসলে বুঝতেই পারতাম না এখানে আসলে মন ভালো হয়ে যায়। তিনি দেশের অন্যন্য পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন-সময় করে পরিবার নিয়ে চলে আসতে পারেন রক্তিম শিমুল বাগানে আসলে অনেক ভালো লাগবে।’
রাজধারী ঢাকার ইব্রাহিমপুর থেকে আসা পর্যটক মো.সুহেল বলেন, শিমুল বাগানের রক্তিম শিমুল গাছের যে সৌন্দর্য্য তা নিজ চোখে না দেখলে আমি বিশ্বাস করতে পারতাম না যে কেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ ছুটে আসেন এই বাগানে। তিনি আরো বলেন,রাস্তাঘাট ভালো থাকলে আরো বেশী পর্যটক আসতেন এই শিমুল বাগানে।
বাগানের মালিক প্রয়াত ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীনের ছেলে ও বাদাঘাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন জানান, এই শিমুল বাগান তার মরহুম পিতা আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীনকে সারা দেশের মানুষের সঙ্গে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, এখানে আসা পর্যটকদের সুবিধার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
যেভাবে যাবেন-জেলা শহর সুনামগঞ্জ আব্দুর জহুর সেতু হতে আপনার সুবিধার্থে সিএনজি, মোটর সাইকেল, মাইক্রোবাস, লেগুনা দিয়ে লাউড়ের গড়। তারপর সরাসরি মোটর সাইকেল যোগে শিমুল বাগানে চলে আসতে পারবেন।