Home Second Lead চট্টগ্রাম:আইসিইউতে যত ভর্তি আরও তত অপেক্ষায়

চট্টগ্রাম:আইসিইউতে যত ভর্তি আরও তত অপেক্ষায়


* গ্রামে মৃত্যু বাড়ছে, আইসিইউ সংকট
*ফেসবুক গ্রুপে আইসিইউ শয্যা চেয়ে প্রতিনিয়ত পোস্ট দিচ্ছেন অনেকেই
*প্রতি ১০০ জনের মধ্যে প্রায় ৪০ জনের করোনা শনাক্ত
*শনাক্ত ও মৃত্যুতে শীর্ষে হালিশহর ও হাটহাজারী


নাজমুল হোসেন
চট্টগ্রাম: দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকে এতটা ভয়ঙ্কর রূপ চট্টগ্রাম দেখেনি। জুলাইয়ে মাসে রেকর্ড সংখ্যাক করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুতে নগরীতে শীর্ষে রয়েছে হালিশহর আর জেলায় হাটহাজারী উপজেলা ।
চলতি মাসের ২৬ দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। মৃত্যু ছাড়িয়েছে ২১৭ জনের। কয়েক মাস আগে করোনায় সংক্রমণ হার ছিল ১০ থেকে ১৩ শতাংশ। জুন মাসের সংক্রমণের হার ২০ থেকে ৩০ শতাংশ থাকলেও  জুলাইয়ে ৩৪ থেকে ৩৯ শতাংশের বেশি থাকছে। প্রতি ১০০ জনের মধ্যে প্রায় ৪০ জনের করোনা শনাক্ত হচ্ছে।
প্রতিদিন যে হারে করোনা রোগী বাড়ছে, তাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গ্রামে সংক্রমণ বাড়ছে খুব দ্রুত।  একেক দিন একেক উপজেলায় রোগী বাড়ছে। এছাড়া সরকারি- বেসরকারি হাসপাতালে শয্যা খালি নেই বললেই চলে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডের বারান্দায় চিকিৎসা চলছে।



বিভিন্ন উপজেলায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। চিকিৎসকরা বলছেন ভারতীয় ধরনে (ডেল্টা প্রজাতি) চট্টগ্রামে সংক্রমণ হার বাড়ছে। একই সঙ্গে হাসপাতালেও রোগীর তিল ধারণের জায়গা নেই। হাসপাতালে শয্যার জন্য হাহাকার পড়ে গেছে। ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে আইসিইউ শয্যা চেয়ে প্রতিনিয়ত পোস্ট দিচ্ছেন অনেকেই। এছাড়া অক্সিজেন সিলিন্ডার চেয়ে পোস্ট দিচ্ছে মানুষ। সামনে আরও ভয়াবহ সময় অপেক্ষা করছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে এতো সংখ্যাক রোগী বাড়ছে। নতুন ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণ গতি পেয়েছে। এছাড়া যারা বাসায় আক্রান্ত হন, অধিকাংশ আইসোলেশনে যায় না। সবার সাথে মেলামেশা করার ফলে পরিবারের সবাই আক্রান্ত হচ্ছে। 
করোনার সংক্রমণ বাড়লে মানুষ মাস্ক পরতে উদাসীন। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই। মাস্ক পরতে হবে। হাত ধোয়ার অভ্যাস থাকতে হবে। ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে।
বুধবার উপজেলায় সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে রাউজানে ৪৭, আনোয়ারায়  ৩, বোয়ালখালী ৪৪, হাটহাজারী ৩, পটিয়া ৩৮, রাঙ্গুনিয়ায় ১, ফটিকছড়িতে ৩২ , সীতাকুণ্ড ২৮ , মিরসরাই ৭, সন্দ্বীপে ২২, সাতকানিয়া ১২, বাঁশখালীতে ১৮  ও লোহাগাড়ায় ১৯  জন শনাক্ত হয়েছেন।