Home Uncategorized চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে দুদকের গণশুনানি ১২ নভেম্বর

চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে দুদকের গণশুনানি ১২ নভেম্বর

বিজনেসটুডে২৪: চট্টগ্রাম বন্দর দেশের আমদানি রপ্তানির সিংহদ্বার। জেটিতে জাহাজ আনা থেকে শুরু করে পণ্য খালাস ও ডেলিভারি পর্যন্ত স্তরে স্তরে রয়েছে নানা অনিয়মের এন্তার অভিযোগ। অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আছে আরও বিভিন্ন পর্যায়ে। ট্রান্সফারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের তদন্তেও ওঠে এসেছে এসব। দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ ( দুদক ) গণশুনানির উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে।

আগামী ১২ নভেম্বর শহীদ মো. ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটরিয়ামে এই গণশুনানি চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। দুদক কমিশনার (তদন্ত) এ এফ এম আমিনুল ইসলাম শুনানি গ্রহণ করবেন। এ ব্যাপারে বন্দর এলাকা, আগ্রাবাদ বানিজ্যিক এলাকাসহ কয়েকটি স্থানে ব্যাপক মাইকিং করা হয়েছে। বন্দরের ওয়ান স্টপ সার্ভিস গেট, কাস্টম হাউজ চত্বর, বন্দরের ৪ নং নম্বর গেট ও চিটাগাং চেম্বারের সামনে বুথ বসিয়ে ভুক্তভোগীদের কাছে থেকে অভিযোগ নিচ্ছে দুদক টিম। আগ্রাবাদে দুদক কার্যালয়েও অভিযোগ নেয়া হচ্ছে। ১১ নভেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত অভিযোগ নেয়া হবে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে। 

চট্টগ্রাম বন্দরসহ বন্দরগুলোর অনিয়ম-দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করা এবং সেগুলো নিরসনের জন্য একগুচ্ছ সুপারিশ করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নিজস্ব কর্মকর্তাদের দীর্ঘ অনুসন্ধানের মাধ্যমে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তারা এ সুপারিশ তৈরি করে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের কাছে এসব সুপারিশ পাঠানো হয়েছিল। সুপারিশে ছিল জেটি বরাদ্দের ক্ষেত্রে ‘ফাস্ট ইন ফার্স্ট আউট’ মেথড বা এফআইএফও অনুসরণ করার মাধ্যমে বন্দরে জাহাজের সিরিয়াল রক্ষায় কঠোর অনুশাসন নিশ্চিত করা, বন্দর ব্যবস্থাপনা ও কার্যক্রম পরিচালনায় দৈনন্দিন যান্ত্রিক ক্রয়, সংগ্রহ ও মেরামতের জন্য লিমিটেড টেন্ডারিং মেথড বা এলটিএমকে নিরুৎসাহিত কওে উন্মুক্ত দরপত্র ব্যবস্থা চালু করা, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে কঠোর মনিটরিংসহ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট এবং বিধিমালা পরিপালন নিশ্চিত করা, কেনাকাটার কার্যক্রমে ই-টেন্ডার প্রক্রিয়া অনুসরণ বাধ্যতামূলক করা ইত্যাদি।