বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে একটি সীমান্ত হাট চালু করতে চায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মিজোরাম। বাংলাদেশ ও মিজোরামের সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বাংলাদেশ ভারতের সেভেন সিস্টারে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া স্থলবন্দর চালুর মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে চায় মিজোরাম সরকার। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে তারা।
রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। বর্তমানে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে কয়েকটি সীমান্ত হাট চালু রয়েছে। সেখানে নির্দিষ্ট দিনে দুদেশের ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যের পসরা সাজান। সীমান্তের উভয় দেশের মানুষ সেখানে কেনাকাটা করতে পারেন। বাংলাদেশের বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে মিজোরামের।
টিপু মুনশি বলেন, চলমান বর্ডার হাটগুলো উভয় দেশের মানুষের মধ্যে বেশ আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। এ বর্ডার হাটের সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে আরও কয়েকটি বর্ডার হাট উদ্বোধন করা হবে। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে আমাকে মিজোরামের একজন প্রতিমন্ত্রী ফোন করেছে। ওরাও চায় যে মিজোরামের বর্ডারে এবং আমাদের বর্ডারে যেন একটা হাট বসে। চলতি মাসেই মিজোরামের প্রতিনিধিদল এ নিয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশে আসবে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, কভিড-১৯ মহামারী শুরুর আগে তিনটি সীমান্ত হাট চালু ছিল। আরও চারটি সীমান্ত হাট উদ্বোধনের অপেক্ষায় ছিল। তবে মহামারীর কারণে এসব হাটের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
টিপু মুনশি বলেন, মিজোরামে বাংলাদেশি পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে, যোগাযোগের সুযোগ কম থাকায় বাণিজ্য বৃদ্ধি করা যাচ্ছে না। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, টয়লেট্রিজ সামগ্রী, জুস, মাছ-মাংস এবং ইলেকট্রনিক সামগ্রীর প্রচুর চাহিদা রয়েছে মিজোরামে। একইভাবে মিজোরাম থেকে বাঁশ, কাঠ, আদা, চিলি এবং পাথর আমদানি করা যেতে পারে। উভয় দিক বিবেচনায় প্রয়োজনীয় প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শনের পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সফররত ভারতের মিজোরাম রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, উচ্চ এবং কারিগরি শিক্ষা, বাণিজ্য এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, মিজোরাম বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। মিজোরাম ভারতের মধ্যে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ রাজ্য। মিজোরাম বাংলাদেশের খুবই নিকটতম রাজ্য। আমাদের বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। আমরা এ সুযোগ কাজে লাগাতে চাই। এজন্য বাংলাদেশ মিজোরাম সীমান্তে বর্ডার হাট স্থাপন ও সড়ক সেতু নির্মাণের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করা যেতে পারে।