বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে চলমান সাধারণ ছুটিতে চট্টগ্রাম বন্দরে ভয়াবহ সংকট তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি নিরসনে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় জরুরি ভিত্তিতে সমন্বয় সভা ডাকতে বলেছে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারকে।
নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, আমদানি পণ্যভর্তি কন্টেইনার ডেলিভারি একেবারে কমে গেছে। এর জেরে বন্দর ইয়ার্ডে নজিরবিহীন জট তৈরি হয়েছে। তাতে জাহাজ থেকে কন্টেইনার নামানো ব্যাহত হচ্ছে। বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ কন্টেইনার জাহাজের সারি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের ট্রাফিক বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বন্দরে এখন ৪৬হাজার টিইইউসের বেশি কন্টেইনার। আর ধারণক্ষমতা হলো ৪৯ হাজার টিইইউস। সাধারণ ছুটি শুরু হওয়ার পর থেকে ডেলিভারি কমে যাওয়ায় কন্টেইনারের বিশাল স্তূপ জমেছে। ইতিপূর্বে প্রতিদিন যেখানে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার ডেলিভারি হতো, সেটা নেমে এসেছে কোন কোনদিন সাত শ’ থেকে আট শ’য়ের মধ্যে।
২৪ ঘণ্টায় ডেলিভারি নেয়া হয়েছে ১২৪৮ টিইইউস।আগের দিন ডেলিভারি হয়েছে ১০৩১ টিইইউস।
ইয়ার্ডের যেখানে জায়গা খালি পাওয়া গেছে সেখানেও রাখা হয়েছে কন্টেইনার। এরপরও পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় জাহাজ বার্থিং-এ রেশনিং করা ছাড়া কোন গত্যন্তর নেই। বার্থ খালি পড়ে থাকে, অথচ বহির্নোঙরে জাহাজ অপেক্ষমাণ বার্থ পাওয়ার জন্য। এখন ৫, ১২ এবং সিসিটি-২ বার্থ শূণ্য। অন্যদিকে, বাইরে ২৮টি জাহাজ অপেক্ষায়।
মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা যায়, কন্টেইনার হ্যান্ডলিং একেবারে কমে গেছে। তাতে কেবল যে বন্দরে জট তৈরি হয়েছে তা নয়, দেশের অভ্যন্তরে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, খাদ্য সামগ্রী সরবরাহও বিঘ্নিত হচ্ছে।
বিরাজমান সংকট নিরসনে জরুরি ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সভা ডেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শনিবার চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারকে জানানো হয়েছে। সিটি মেয়র, বন্দর চেয়ারম্যান, পুলিশ কমিশনার, কাস্টমস কমিশনার, এটমিক এনার্জি ও প্ল্যান্ট কোয়ারেন্টাইন কর্তৃপক্ষ, বিএসটিআই, ব্যাংক প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সভাটি আহ্বান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে এক পত্রে।