Home Second Lead চট্টগ্রামে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু বন্ধ করুন: ক্যাব

চট্টগ্রামে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু বন্ধ করুন: ক্যাব

‘‘কিছু চিকিৎসকের দ্বৈত ভূমিকার কারণে মানুষ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পায় না, আবার বেসরকারি ক্লিনিকে গিয়ে সেখানেও জিম্মি।’’

চট্টগ্রামের সকল সরকারি-বেসরকারি ক্লিনিকে করোনাসহ সাধারন রোগী ভর্তি করতে দ্রুত শয্যা সংখ্যা বাড়ানো ও করোনাসহ সকল প্রকার রোগের চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করা ও বিনা চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু বন্ধের জন্য আবেদন জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম নেতৃবৃন্দ।

চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারী হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা বৃদ্ধির সংবাদে উদ্বেগ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক ডাঃ মেজবাহ উদ্দীন তুহিন, তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপের সভাপতি চৌধুরী কে এনএম রিয়াদ ও সম্পাদক নিপা দাস উপরোক্ত দাবি জানান।

বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন প্রতিদিন করোনায় মৃত্যুেত সর্বোচ্চ চট্টগ্রাম বিভাগ, তারপরও সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলি শয্যা ও আনুসাংগিক সুবিধা না বাড়িয়ে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আবার বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলি সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের ওপর নির্ভরশীল। অনেক সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক একদিকে সরকারি চিকিৎসক অন্যদিকে বেসরকারি ক্লিনিকের মালিক। কিছু চিকিৎসকদের দ্বৈত ভূমিকার কারণে মানুষ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পায় না, আবার বেসরকারি ক্লিনিকে গিয়ে সেখানেও জিম্মি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সরকারি-বেসরকারি সকল হাসপাতালে রোগীদের সেবা নিশ্চিতের নির্দেশনা দিলেও স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও বেসরকারি ক্লিনিকের মালিকেরা তা আমলে নেননি। ফলে পুরো চট্টগ্রাম নগর জুড়ে চিকিৎসা সেবার জন্য হাহাকার।  

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন ক্লিনিকে সেবা পেতে রোগীদের ভোগান্তি, হয়রানি, সেবা না পাওয়া, লাগামহীন ও গলাকাটা সেবা মূল্য আদায়, স্বাস্থ্য সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলিতে নজরদারির অভাব ইত্যাদি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলির নিত্যদিনকার চিত্র হলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় কার্যত কোন ব্যবস্থা গ্রহণে সক্ষম হয়নি।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে করোনা ও সাধারন রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিতে সরকারি-বেসরকারী ক্লিনিক গুলিকে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোসহ দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।