Home First Lead চা বাগানে পাতা চয়ন শুরু, শ্রমিকদের মুখে হাসি

চা বাগানে পাতা চয়ন শুরু, শ্রমিকদের মুখে হাসি

ছবি সংগৃহীত

বিজনসটুডে২৪ প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার: চা বাগানে প্রাণের ছোঁয়া, শ্রমিকদের মুখে হাসি। মৌসুমের প্রথম চা পাতা চয়ন শুরু হয়েছে। এ অঞ্চলের কয়েকটি বাগানে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।  সবকটি বাগানে পুরোদমে পাতা তোলা আরম্ভ হচ্ছে শিগগির।

 মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখায় রয়েছে প্রায় ১৬ টি চা বাগান।  বাগানজুড়ে এখন কচি সবুজ রঙের ছোঁয়া। পাতায় পাতায় সবুজ সদ্য অঙ্কুরিত। প্রতিটি টিলা-সমতল প্রান্তরে সবুজের সমারোহ। সেই সতেজ আর স্নিগ্ধ রূপ নিয়ে দু’টি পাতা একটি কুঁড়িরা এখন বাগানে বাগানে মাথা তুলে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে।

বুধবার নিউ সমনবাগ ও পাথারিয়া চা-বাগানে আনুষ্ঠানিকভাবে চা পাতা চয়ন শুরু হযেছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী ব্যবস্থাপক রাজ নারায়ণ পাল, চা ফ্যাক্টরির ব্যবস্থাপক এমদাদুল হক ও চা শ্রমিকসহ মসজিদের ইমাম ও পুরোহিত।

নিউ সমনবাগ চা বাগানের ব্যবস্থাপক মো. শাহিদ নেওয়াজ বলেন, এবার মৌসুমের শুরুতেই আগাম বৃষ্টিপাত হওয়ায় এবং চা গাছে নতুন কুঁড়ি চলে আসায় বেশ কিছু বাগানে ট্রিপিং শুরু হয়ে গেছে। সাধারণত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চা মৌসুম শেষ হয়ে যায়। তখন চা গাছে প্রুনিং করা হয়। এসময় দুই থেকে তিন মাস চা ফ্যাক্টরি বন্ধ থাকে। মার্চ-এপ্রিলে বৃষ্টি হলে আবার চা শিল্পে আসে প্রাণচাঞ্চল্য। অনুকূল আবহাওয়া থাকলে এবং শ্রমিকদের আন্তরিকতায় এ বছর আমাদের লক্ষ্যমাত্রা চা উৎপাদন সম্ভব হবে। আমাদের বাগানে সব সময়’ই কোয়ালিটি চা উৎপাদন করে থাকি। এবছরও এর ব্যতিক্রম হবে না ইনশাআল্লাহ।

পাথারিয়া চা-বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক আব্দুল্লাহ আল নোনান বলেন, বাগানে দোয়া মাহফিল এবং চা শ্রমিকদের পক্ষ থেকে গীতাপাঠসহ পূজা-অর্চনার মাধ্যমে অধীর আগ্রহে এবং পরম আনন্দে চায়ের কচি পাতা দু-হাত ভরে উত্তোলন করছেন চা শ্রমিকরা যদিও বৃষ্টির কারণে এবার নতুন পাতা উত্তোলন কিছুটা দেরি হলেও  লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যাঘাত ঘটবে না। কারণ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কিছু কিছু সেকশনে সেচ দেওয়া হচ্ছে। আশাকরি কয়েক দিনের মধ্যেই বৃষ্টিপাত হবে, তখন সবুজে সবুজে ভরে যাবে চা বাগানের সবুজ কুঁড়ি।

প্রায় দু’মাস আগে কাটা হয়েছে গাছগুলো। কয়েকদিন আগের বৃষ্টি পেয়ে এখন চা গাছগুলোতে নতুন কুঁড়ি ছাড়তে শুরু করেছে। যে চা গাছের কুঁড়িগুলো অন্যগুলোর থেকে বেশি বড় হয়ে গেছে সেগুলোকে ইতোমধ্যে তোলা হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।

সাধারণত ডিসেম্বরে মৌসুমের শেষে চা-গাছ ছাঁটাই বা কলমের পর নিয়মানুযায়ী দুই-তিন মাস চা-বাগানে চা-পাতা উৎপাদন বন্ধ থাকে। ফলে চা-কারখানাও অলস থাকতে হয়। সেচ সুবিধা ও বৃষ্টিপাতের কারণে নতুন কুঁড়ি গজানোর পর আনুষ্ঠানিকভাবে চা-পাতা চয়নের মাধ্যমে শুরু হয় চায়ের উৎপাদন।