মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা: চা শ্রমিকদের আবাসনের ব্যবস্থা করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে ভিডিও কনফারেন্সে চা-শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ আশ্বাস দেন সরকারপ্রধান।
এর আগে, সিলেটের লাক্কাতুরা চা-বাগানের শ্রমিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। সেসময় বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা প্রধানমন্ত্রীর কাছে শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন।
ভিডিও কনফারেন্সে চা শ্রমিকদের ভূমির অধিকার, চিকিৎসা, বাসস্থান, অ্যাম্বুলেন্স, চা-শ্রমিক সন্তানদের উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা, শ্রমিকদের গ্র্যাচুইটি, মাতৃত্বকালীন পূর্ণ ছুটি ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় চা-শ্রমিকরা ভূমির অধিকার, পেটভরে খেতে পারার জন্য মজুরি, মালিকদের ৪০২ টাকা সুবিধা প্রদানের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি করেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
ভিডিও কনফারেন্সের শুরুতে পাত্রখোলা চা বাগানের শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
উল্লেখ্য, দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে টানা ২০ দিন কর্মবিরতি পালন করেন চা শ্রমিকরা। পরে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ১৭০ টাকা মজুরিতে কাজে ফেরেন তারা।
দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে গত ৯ অগাস্ট থেকে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন দেশের ২৪১টি চা বাগানের প্রায় সোয়া লাখ শ্রমিক। প্রথম চারদিন শ্রমিকরা প্রতিদিন দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন। এরপর ১৩ অগাস্ট থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন শুরু করেন শ্রমিকরা।
এরপর ২৭ অগাস্ট গণভবনে চা বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকের পর নতুন মজুরির ঘোষণা আসে। এরপর শ্রমিকরা নিজ নিজ বাগানে কাজে ফিরেছেন।
চা-শ্রমিকরা তাদের সুখ-দুঃখ ও দাবি দাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার দাবির প্রেক্ষিতে আজ শনিবার এই ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়।