সুমন চৌধুরী
চট্টগ্রাম: নগরীতে সড়কের পাশে ভাসমান দোকানিদের কাপড় বিক্রি জমে উঠেছে। কেউ পসরা সাজিয়েছে বাচ্চাদের প্যান্ট ও জামা নিয়ে। কেউবা মেয়েদের সেলোয়ার। সকল বয়সীদের শীতের পোশাকও রয়েছে। সারাবছরই তাদের বেচা বিক্রি হয়। হাঁকডাক একটাই চাই লন, বাছি লন। ডাক শুনে ভিড় করছে পথচারীরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাছাবাছি করলেও বিরক্ত বোধ করে না দোকানিরা।
সরেজমিনে নগরীর বন্দরটিলা, ফ্রিপোর্ট, কাটঘর, স্টিলমিল, আগ্রাবাদ, বড়পুল মোড়, শেরশাহ, বায়েজিদ, অক্সিজেন, মুরাদপুর, ২নম্বর গেট, পাহাড়তলী, অলংকার, আমবাগান, ঝাউতলা, টাইগারপাস, রেয়াজউদ্দিন বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে ভাসমান দোকানিরা রঙবেরঙের ম্যাজিক বাতি লাগিয়ে বিভিন্ন আইটেমের পোষাক সাজিয়ে রখেছে। জহুর হকার মার্কেট ও আশপাশে এর সংখ্যা বেশি। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এই মার্কেট থেকে কেনাকাটা করে। বিশেষ করে যুবকদের কাছে বেশি জনপ্রিয় মার্কেটটি। দোকানিরা বলছেন, শীতের পোশাকসহ সাধারন পোশাকের তেমন বিক্রি নেই।
জানা গেছে, দোকানিরা বেশির ভাগই গার্মেন্টেস এর স্টক লটের পোশাক বিক্রি করেন। কালেকশনও ভালো। সুয়েটার, জ্যাকেট থেকে শুরু করে রয়েছে ভিন্ন রঙের কানটুপি, মাপলার, হাত মোজা ও ট্রাউজার। অপরদিকে রেয়াজউদ্দিন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ভাতীয় ও পাকিস্তানি শাল। জুতার দোকানগুলোতে রাখা হয়েছে বিভিন্ন দামের ক্যাটস।
হকার মার্কেটে আসা ক্রেতা সালাউদ্দিন আহম্মেদ বিজনেসটুডে২৪ কে জানান, নগরীতে এখনও শীত তেমন পড়ছে না। তবুও শীতের কাপড় কিনতে এসেছি। শীত পড়লে দাম বাড়ারও ব্যাপার আছে। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতে মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত আসলে আর কেনাকাটা হবে না।
দোকানিরা জানান, মানুষ করোনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে চিন্তিত। টাকা পয়সা তেমন খরচ করছে না। আমরা শীতের অনেক পোশাক তুলেছি। যে হারে বেচাবিক্রির লক্ষ্য নিয়েছিলাম সে রকম হচ্ছে না।
ফুটপাতের দোকানি মোক্তার হোসেন বিজনেসটুডে২৪ কে জানান, ‘চাই লন, বাছি লন’ আমার মত ফুপপাতে দোকানিদের হাঁকডাক। আমাদের ক্রেতা স্বল্প আয়ের মানুষ। যে দামে আমাদের কাছ থেকে পোশাক তারা কিনে সেই দামে মার্কেট থেকে কিনতে পারবে না।
এদিকে এবারে শীতে কম্বল বিক্রিও তেমন নেই বলে জানিয়েছন দোকানিরা। রিয়াজউদ্দিন বাজারের দোকানিরা জানান, কম্বল মজুত থাকলেও সেই হারে বিক্রি নাই। প্রতি বছর শীতের আগ থেকেই কম্বল বেচাবিক্রি করেছি। এবার তাও নেই।
ফুটপাতে কম্বল বিক্রতা বেলাল বিজনেসটুডে২৪ কে জানান, প্রতি বছর ভালো ব্যবসা হয়েছে। এ বছর ৮০ হাজার টাকা দিয়ে কম্বলের গাইট কিনেছি। বিক্রির অবস্থা ভালো না। ফুটপাতে ব্যবসা করলে আনুষঙ্গিক যে খরচ সেটা তো থেমে নেই।