Home First Lead বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের চামড়াজাত পণ্যের চাহিদা বাড়বে

বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের চামড়াজাত পণ্যের চাহিদা বাড়বে

বিজনেসটুডে২ি৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: অন্যতম রপ্তানি প্রতিযোগী ভিয়েতনাম ও চীনের মতো দেশগুলোও এখন তাদের চামড়া শিল্প বাংলাদেশে স্থানান্তর করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

গতকাল বুধবার ‘লেদারটেক-২০২২’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এমন তথ্য দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী দাবি করেন, এটি বাংলাদেশের জন্য বিরাট সুযোগ। এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। কারণ, বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের চামড়াজাত পণ্যের বিরাট কদর রয়েছে। এখন দেশি শিল্পের পাশাপাশি স্থানান্তর হওয়া বিদেশি শিল্পগুলোও যদি উৎপাদনে যায়, তাহলে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের চামড়াজাত পণ্যের একক অংশীদারত্ব বাড়বে। বর্তমানে চামড়া খাতে সার্বিক রপ্তানির পরিমাণ এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। আমাদের কাঁচামাল এবং দক্ষ জনশক্তির সহজলভ্যতা আছে। এর সঙ্গে যদি আমরা নতুন প্রযুক্তির সংযোগ ঘটিয়ে মানসম্মত পণ্য উৎপাদন করতে পারি, তাহলে আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ চামড়া খাতেই রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

লেদারগুডস অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এলএফএমইএবি) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার এক্সপো জোনে।

আয়োজক প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, দেশে এ ধরনের আয়োজন অষ্টমবারের মতো। এবার প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে বিশ্বের ১০টি দেশের প্রায় ২০০টি প্রতিষ্ঠান। দর্শনার্থীদের জন্য এই প্রদর্শনী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে সন্ধা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী খাত-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এ শিল্পকে পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সরকার ঢাকার হাজারীবাগ থেকে সাভার ট্যানারিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। ফলে পোশাক শিল্পের বাইরে চামড়া শিল্পও আশার আলো দেখাচ্ছে। তবে মনে রাখতে হবে, আগামী ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন করে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। তখন বাংলাদেশের জন্য এলডিসিভুক্ত দেশের সুযোগ-সুবিধা থাকবে না। বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা করেই এগিয়ে যেতে হবে। সেজন্য আগে থেকেই খাত-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের প্রস্তুতি নিতে হবে। বিশ্ববাজার সম্পর্কে যেমন ধারণা থাকতে হবে। একই সঙ্গে পণ্য উৎপাদনেও বৈচিত্র্য আনতে হবে। বাড়াতে হবে পণ্যের গুণগত মান। সন্ধান করতে হবে নতুন বাজার। তবেই আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব। এ ক্ষেত্রে করণীয় সব ধরনের নীতিসহায়তা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। আগামীতেও এর ধারা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

‘লেদারটেক-২০২২’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লেদারগুডস অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এলএফএমইএবি) সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, ভারতের কমিটি অব আ্যডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল অব লেদার এক্সপোর্টসের সদস্য ভিপেন কুমার সেথ, ভারতের ফুটওয়্যার কম্পোন্যান্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ইরিক ইলিং, এএসকে ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিপু সুলতান ভূঁইয়া ও পরিচালক নন্দগোপাল কে।