তাপস প্রান্ত
চট্টগ্রাম: সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে দুই হেভিওয়েট প্রার্থী, আওয়ামীলীগ মনোনীত রেজাউল করিম চৌধৃুরী ও বিএনপি মনোনীত ডাঃ শাহাদাত হোসেন ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।
নির্বাচনী ইশতেহারে রেজাউল করিম বন্দরের উন্নয়নকে প্রাধান্য দিলেও শাহাদাতের ইশতেহারে ছিলনা কোন বন্দর ভবনা।
ইশতেহারে বন্দরের উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে, চট্টগ্রামের জলবদ্ধতা নিরসন, যানজট সমস্যা থেকে উত্তরণ, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সহ ৩৭ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
তিনি বলেন, প্রবেশদ্বার চট্টগ্রাম বন্দর। জাতীয় অর্থনীতি চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরেই আবর্তিত হয়। জাতীয় আমদানি-রপ্তানির ৮৫% চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পরিচালিত হয়। স্বাভাবিক কারণে চট্টগ্রাম দেশের অর্থনীতির প্রাণভোমরা। ১২ বছরে চট্টগ্রাম বন্দর বিশ্বমানের গতিশীল আন্তর্জাতিক বন্দরে পরিণত হয়েছে। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও অবকাঠামো সুবিধা ধাপে ধাপে যুক্ত হয়ে চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার স্বর্ণদ্বার খুলতে এগিয়েছে অনেকদূর। প্রতিবেশি ভারতের ভূমিবেষ্টিত সেভেন সিষ্টার, চীনের কুনমিংসহ নেপাল, ভূটানেরও আমদানি রপ্তানির ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার হবে চট্টগ্রাম। এতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের বিশাল উৎসমুখ খুলে যাবে শিগগিরই। নির্বাচিত হলে সে লক্ষ্যে কাজ করব।
অপরদিকে, পরিবেশ দূষণ ও ভেজালমুক্ত করণ, টেন্ডারবাজী ও চাঁদাবাজমুক্ত করণ,জলাবদ্ধতামুক্ত, স্বাস্থ্যকর, শিক্ষাবান্ধব, গৃহ কর ও আবাসন সুবিধা, পরিচ্ছন্ন চট্টগ্রাম, নিরাপদ, সাম্য-সম্প্রীতির, নান্দনিক পর্যটন নগর এবং তথ্য প্রযুক্তি সমৃদ্ধ চট্টগ্রাম গড়তে ৭৫ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে বিএনপি প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। কিন্তু শাহাদাতের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিলনা কোন বন্দর ভাবনা।