৬০ বছর আগে তাঁর স্বামীকে চিঠি লিখেছিলেন তৎকালীন প্রেমিকা। সেই চিঠি হাতে পড়ে যায় ৭১ বছর বয়সী স্ত্রীর। আর তা দেখেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন বৃদ্ধা। ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্বামীকে খুনের চেষ্টাও করেন বলে অভিযোগ। আমেরিকার ফ্লোরিডার ঘটনা জেনে শিউরে উঠছেন সকলে।
বৃদ্ধার নাম বার্থা ইয়াল্টার, তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের কাছে এক ব্যক্তি ফোন করে অভিযোগ জানান যে তাঁর স্ত্রী বাড়িতে তাঁকে খুনের চেষ্টা করছেন। কল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের বাড়িতে পৌঁছয় পুলিশ। তারপর যা দেখে তা দেখেই পুলিশই আঁতেক ওঠে। ক্ষত বিক্ষত অবস্থায় পড়ে কাতরাচ্ছেন বৃদ্ধ। হাতে-পায়ে একাধিক জায়গায় ক্ষত, এমনকী কামড়েও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। হাত-পা রক্ত ভিজে যাচ্ছে তখন। তড়িঘড়ি বৃদ্ধকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
উত্তর মিয়ামি বিচ পুলিশ জানিয়েছে, ৫২ বছরের দাম্পত্য জীবন ইয়াল্টার ও তাঁর স্বামীর। আক্রান্ত বৃদ্ধ জানিয়েছেন ১৯৬০ সালে তাঁদের দু’জনের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে এক মহিলার থেকে একবার একটি চিঠি পেয়েছিলেন। সেটি রেখে দিয়েছিলেন নিজের কাছে। সেটি হাতে পড়ে যায় ইয়াল্টারের। আর তা দেখেই অশান্তির সূত্রপাত। পুরনো সেই চিঠি হাতে পেয়েই স্বামীর উপর রেগে কাঁই হয়ে যান ইয়াল্টার। অভিযোগ, বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা করেন স্বামীকে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, আক্রমণের কয়েকটি মুহূর্ত রেকর্ড করা হয়েছে মোবাইলে। সেই সব ক্লিপগুলো দেখেই স্পষ্ট স্ত্রীর দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন বৃদ্ধ। সূত্রের খবর, বৃদ্ধা জিজ্ঞাসাবাদের সময় স্বামীর উপর আক্রমণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। পাশাপাশি বেশ কিছুদিন যাবৎ স্বামীকে মোবাইল ফোনও ব্যবহার করতে দেননি বলে অভিযোগ। স্বামীর মোবাইল ফোন রেখেছিলেন নিজের কব্জায়।
তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, ওই দম্পতি ৫২বছর ধরে ঘর সংসার করছেন। পুলিশ মামলাটি গুরুত্ব সহকারে দেখছে। অভিযুক্তের স্বামী এখন সুস্থ রয়েছেন। ৭১ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারা ছাড়াও আরও কয়েকটি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। স্বামীর সঙ্গে তিনি যাতে আরও কোনও প্রকার যোগাযোগের চেষ্টা না করেন, সেই বিষয়েও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে। তবে পাল্টা বৃদ্ধার আইনজীবী তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক’ বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘আমি খুব আত্মবিশ্বাসী যে আমরা এই মামলাটি দ্রুত এবং অনুকূলভাবে সমাধান করতে চলেছি।