বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
সোমবার ১২৩জন ও ৯ কর্মি নিয়ে চায়না ইস্টার্ন প্যাসেঞ্জার জেটের যে বিমানটি দক্ষিণ-পশ্চিম চিনে ভেঙে পড়ে সেটারধ্বংস স্তূপে প্রাণের কোনও চিহ্ন নেই।
বিমান ধ্বংসের সংবাদে ‘ব্যথিত হয়েছেন’ চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি দুর্ঘটনা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
চিনের সরকারি মিডিয়া জানিয়েছে, গুয়াংশি অঞ্চলে উঝোউ শহরের অল্প দূরে বিমানটি ভেঙে পড়ে । স্থানীয় এক গ্রামবাসী জানিয়েছেন, বিমানটি টুকরো টুকরো হয়ে গেছে।
চিনের অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, যেখানে বিমানটি ভেঙে পড়েছে, সেখানকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে উদ্ধারকারী দল। সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর একটা বেজে ১১ মিনিটে বিমানটি কুনমিং থেকে গুয়াংঝৌ-এর উদ্দেশে উড়ে গিয়েছিল। দু’টো বেজে ২২ মিনিটে বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিমানটি তখন ৩২২৫ ফুট উচ্চতায় ছিল। তিনটে বেজে পাঁচ মিনিটে তার গুয়াংঝৌ বিমান বন্দরে নামার কথা ছিল।
আকাশপথে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গত এক দশকে চিনের এভিয়েশন শিল্প আছে এক নম্বরে। এভিয়ান সেফটি নেটওয়ার্ক অনুযায়ী চিনে শেষবার প্রাণঘাতী বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২০১০ সালে। সেবার হেনান এয়ারলাইন্সের একটি ই-১৯০ বিমান ইচুন বিমান বন্দরের কাছে ভেঙে পড়ে। বিমানের ৯৬ জন যাত্রীর মধ্যে ৪৪ জন নিহত হয়েছিলেন।