Home বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ চ্যালেঞ্জগুলোকে সুযোগে রূপান্তরিত করুন: বিজিএমইএর সভাপতি

চ্যালেঞ্জগুলোকে সুযোগে রূপান্তরিত করুন: বিজিএমইএর সভাপতি

ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম: তৈরি পোশাক মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর নতুন সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে চ্যালেঞ্জগুলোকে সুযোগে রূপান্তরিত করে কার্যক্রম পরিচালনা ও করোনা পরিস্থিতিতে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে কারখানা পরিচালনায় সবার সহযোগিতা কামনা করি।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে বিজিএমইএ আঞ্চলিক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রামের নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের বরণ ও সদ্য সাবেক পর্ষদের বিদায় অনুষ্ঠানে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

পোশাক শিল্প-কারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখার নির্দেশনা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান তিনি।

বিজিএমইএ নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের (২০২১-২৩) প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি রকিবুল আলম চৌধুরী ও বিদায়ী প্রথম সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতি এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের নব-নির্বাচিত পরিচালক ও বিদায়ী পরিচালকরা সরাসরি ও ভাচুয়ালি অংশ নেন। 

সদ্যবিদায়ী প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম বলেন, নবনির্বাচিত প্রথম সহ-সভাপতি একজন তরুণ সংগঠক এবং এ শিল্পের সঙ্গে ও বিজিএমইএর কার্যক্রমের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই কার্যকর ভাবে সম্পৃক্ত আছেন। আশা করি তার নেতৃত্বে নতুন পরিচালনা পর্ষদ পুরাতন ও নতুনদের অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে বিজিএমইএর কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে বিজিএমইএ কোভিড-১৯ ফিল্ড হাসপাতাল পোশাক শিল্পের মালিক শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও এ সেক্টরের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

নবনির্বাচিত প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, বিগত পর্ষদের কর্মতৎপরতা ও দক্ষ নেতৃত্বের কারণেই চট্টগ্রামে গার্মেন্টস্ শিল্পে শিল্পবান্ধব স্থিতাবস্থা বিরাজ করেছে। তারা অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে বিজিএমইএর সস্যদের সেবা দিয়েছেন। আশা করি বিজিএমইএর সিনিয়র ও অভিজ্ঞ নেতারা সবসময় নতুন পর্ষদকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে এ শিল্পের অগ্রগতিতে সার্বিক সহযোগিতা দেবেন।

তিনি আরো বলেন, গার্মেন্টস সেক্টরের বর্তমান ক্রান্তিকালে বিরাজমান সমস্যাগুলো সমাধানে বর্তমান পর্ষদ সব প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে এবং নতুন সভাপতি ফারুক হাসানের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এ সেক্টরের উত্তরোত্তর ইমেজ বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে।

চট্টগ্রাম অর্থনৈতিক হাব হিসাবে সারাদেশে পোশাক শিল্পের কার্যক্রম বেগবান করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদান কার্যক্রম আরও ত্বরান্বিত করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নবনির্বাচিত পরিচালক এমডিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, তানভীর হাবিব, এএম শফিউল করিম (খোকন), মো. হাসান (জ্যাকি), এম এহসানুল হক, মিরাজ-ই-মোস্তফা কাইসার ও বিদায়ী পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, মোহাম্মদ আতিক, খন্দকার বেলায়েত হোসেন, এনামুল আজিজ চৌধুরী, সাবেক পরিচালক নাফিদ নবী, সাইফ উল্ল্যাহ মনসুর ও আমজাদ হোসেন চৌধুরী।

এছাড়া, অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি এরশাদ উল্ল্যাহ, এসএম আবু তৈয়ব, নাসিরউদ্দিন চৌধুরী, মঈনউদ্দিন আহমেদ (মিন্টু), সাবেক পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, লিয়াকত আলী চৌধুরী, সদ্যবিদায়ী পরিচালক এএম মাহবুব চৌধুরী, ওয়েল গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামসহ পোশাকশিল্পের মালিকরা।