Home অন্যান্য ছেলেদের স্কুলব্যাগে স্যানিটারি ন্যাপকিন, কিন্তু কেন

ছেলেদের স্কুলব্যাগে স্যানিটারি ন্যাপকিন, কিন্তু কেন

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

স্যানিটারি ন্যাপকিনের বিজ্ঞাপনে যতোই মেয়েদের হেসেখেলে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাক না কেন, মাসের পাঁচদিন সাধারণত অস্বস্তিবোধ করেন বহু মেয়েই। কখনও কখনও দেখা যায় দোকানে গিয়ে চুপিচুপি স্যানিটারি ন্যাপকিনের কথা বলছেন। তারপর কালো প্লাস্টিকে জড়িয়ে সেটা ঘরে আনছেন।

কিন্তু কেন! হয়তো এই স্বাভাবিক জৈবিক প্রক্রিয়াকে একুশ শতকেও ‘স্বাভাবিক’ ভাবতে দ্বিধাবোধ করেন কেউ কেউ।

আধুনিক বিশ্বে পিরিয়ড নিয়ে সচেতনতার বার্তা পৌঁছানোর কাজে হাতে হাত মিলিয়েছেন বহু জায়গার মানুষ। কিন্তু এমন ঘটনা হয়তো সচরাচর দেখা যায় না। নিজের ছেলেদের স্কুলব্যাগে সবসময় স্যানিটারি ন্যাপকিন রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন আমেরিকাবাসী তারা আহেরান।

তারা চার সন্তানের মা। তাঁর দু’টি মেয়ে এবং দু’টি ছেলে। মিকা এবং এলিজাহকে তারা পিরিয়ড সম্পর্কে নানা বিবরণ দিয়েই এই পরামর্শ দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, “যে কোনও সময়েই মেয়েদের পিরিয়ড হতে পারে। এটা নিয়ে মেয়েরা সর্বক্ষণ চিন্তাতে থাকেন। সেকারণে এমন সময় বান্ধবীদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়াটা বন্ধু হিসেবে তাঁদের পালনীয় কর্তব্য। আমি সেই শিক্ষাই আমার ছেলেদের দিয়েছি।”

প্রথমদিকে মায়ের কথা বুঝতে না পারায় খানিকটা সংশয় প্রকাশ করেছিলেন দুই ভাই। কিন্তু হঠাৎ একদিন এক বান্ধবীর সময়ের আগে পিরিয়ড শুরু হওয়ায়, তাঁর ব্যাগে যে স্যানিটারি ন্যাপকিন রাখা আছে, বান্ধবীকে জানিয়েছিলেন এলিজাহ। সেদিন থেকেই মায়ের কথাগুলোর গুরুত্ব অনুধাবন করতে শুরু করেন দুই ভাই। একইভাবে মিকাও সাহায্য করেন তাঁর বান্ধবীদের। ব্যাগের মধ্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন ছাড়াও অতিরিক্ত জামাও রেখে দেন মিকা।

এই প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পাবলিক পোস্ট করেন তারা। সেখানে লেখেন, “পরিবারের মধ্যে পিরিয়ড নিয়ে, কিংবা মেয়েদের, ছেলেদের যেকোনও জৈবিক প্রক্রিয়া নিয়ে স্বাভাবিকভাবে কথা বললে, অনেক সময় ছোট থেকেই সন্তানরা সচেতন হন। আমি আশা করছি, যেকোনও লিঙ্গের, এমনকি ট্র্যান্সজেন্ডার বাচ্চারাও জানুক, যে প্রয়োজনের সময় আমার সন্তানদের তাঁরা পাশে পাবেন।”