বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
গোয়াইনঘাট ( সিলেট ): জাফলংয়ে প্রশাসন নিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবকদের হামলার শিকার হয়েছেন পর্যটকরা। এতে অন্তত ৩ জন পর্যটক আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ২ স্বেচ্ছাসেবককে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঈদের দিনগুলোতে টিকিট বিক্রি ও ছবি তোলার নামে স্বেচ্ছাসেবক নামধারী কতিপয় যুবক পর্যটকদের সঙ্গে চাঁদাবাজি করছিলেন। একটি ছবি তুলে তারা পর্যটকদের জিম্মি করে এক হাজার থেকে ১৫শ’ টাকা দাবি করেন।
এ নিয়ে তর্ক-বিতর্কের জের ধরে ওই পর্যটন এলাকায় স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করা কতিপয় যুবক পর্যটকদের ওপর বেপরোয়া হয়ে হামলা করেন। তারা বাঁশের লাঠি দিয়ে পর্যটকদের পেটাতে থাকেন। এ সময় তরুণীরা তাদের সঙ্গীদের বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাদেরও মারধর, হেনস্তা করা হয়। স্থানীয়রা ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করলেও কেউ এগিয়ে আসেননি।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, স্বেচ্ছাসেবক লেখা নীল ইউনিফর্ম পরা ৩ জন হাতে লাঠি নিয়ে পর্যটকদের পেটাচ্ছেন। এ সময় কয়েকজন নারী পর্যটক তাদেরকে থামাতে গিয়ে লাঞ্ছিত হন।
গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তাহমিলুর রহমানের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পর্যটকদের ওই দলটি টিকেট ছাড়াই জাফলং এলাকায় ঢুকতে চাইলে টিকেট কাউন্টারের কাছে থাকা স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকরা পর্যটকদের ওপর হামলা চালায়।
তিনি বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক এবং এতে আমাদের পর্যটনের অনেক ক্ষতি হলো। যেহেতু হামলাকারীরা আমাদের নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক, তাই আমি দায় নিচ্ছি।
ইউএনও বলেন, ইতোমধ্যেই ৩ জন স্বেচ্ছাসেবককে বরখাস্ত করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশকে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনার মূল হোতা দুজনকে আটক করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজে দেখেছি, তারাই বেশি পিটিয়েছেন। এছাড়া আরও যারা জড়িত ছিলেন, তাদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।
জাফলং টুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ মো. রতন শেখ বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের একটা টিম ঘটনাস্থলে গিয়েছে। জাফলংয়ে পানিতে পড়ে একজন পর্যটক নিখোঁজ হয়েছেন, এমন সংবাদে আমরা অন্যদিকে ব্যস্ত ছিলাম। ওই সময়ে এ ঘটনা ঘটেছে।