বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: নাম যাযাবর পারভেজ নামে। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে বাসা। কপালে টিপ, মুখে ঘোমটা আর শরীরে চাদর মুড়িয়ে বান্ধবীর সাথে রাতে ঢুকেই পড়েছিলেন মহিলা ছাত্রীনিবাস- নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে। বান্ধবীর সাথে রাত কাটাতে পারেননি। তার আগেই হাতে নাতে ধরা খেয়ে এখন পুলিশ হেফাজতে।
যাযাবর পারভেজের বান্ধবী নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে অধ্যয়নরত। বান্ধবীর সাথে তিনি দিনভর হিম উৎসব উপভোগ করেন। শনিবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে তাকে বান্ধবীর কক্ষ থেকে আটক করা হয়। ৩ দিনব্যাপী হিম উৎসব শেষ হয়েছে ।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা যায়, আটক যুবকের নাম আশরাফুল ইসলাম পারভেজ। তবে তার পরিচিতি যাযাবর পারভেজ নামে। জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন যে ২০১১ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। তবে তার সর্বশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানা যায়নি। রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রথম বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থীর সাথে কপালে টিপ, মুখে ঘোমটা দিয়ে প্রবেশ করেন। পোশাক ও হাটা দেখে আশেপাশের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সন্দেহ হয়। পরে তারা বিষয়টি জানান হল সুপার নাদিয়া সুলতানাকে। সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে হল সুপার ওই নারী শিক্ষার্থীর কক্ষে গিয়ে অভিযুক্ত পারভেজ সহ একসাথে দেখতে পান তারা। এরপর পারভেজকে আটক করে হল প্রভোস্ট ও প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতে পুলিশে দেওয়া হয়। তার আগে পারভেজকে শাড়ি ও টিপ পরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
পারভেজ ঘটনার বিষয়ে বলেছেন যে তিনি হিম উৎসবে বেড়াতে এসেছি। অনুষ্ঠান দেখা শেষ করে কপালে টিপ পড়ে মুখ ও শরীর চাদরে মুড়িয়ে হলে প্রবেশ করি। ‘আমরা শুধুই ভালো বন্ধু।’ পারভেজের বান্ধবী বলেছেন, ‘রাতে থাকার জায়গা না থাকায় তাকে হলে নিয়ে এসেছি। তবে আমরা কেউ আপত্তিকর অবস্থায় ছিলাম না।’
হল প্রভোস্ট অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম ঐ প্রসঙ্গে বলেছেন, আমি খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত হয়েছি। অভিযুক্তদের প্রক্টরিয়াল বডির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, আটক যুবককে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হল অভিযুক্ত নারী শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।