Home কৃষি জৈব সারের জনপ্রিয়তা বাড়ছে

জৈব সারের জনপ্রিয়তা বাড়ছে

 

কৃষিবিদ জাহেদুল আলম রুবেল:  নড়াইলে এখন বাণিজ্যিকভাবে তৈরি হচ্ছে জৈব সার। কৃষকরা জমিতে জৈব সার ব্যবহার করায় একদিকে মাটির গুণাগুনও বাড়ছে। চাষিরা পাচ্ছেন ভালো ফলনও।  পানের বরজ, সবজি, ধানসহ বিভিন্ন ফসলে কৃষকরা জৈব সার ব্যবহার করছেন। চাহিদা থাকায় দেশের বিভিন্ন স্থানেও যাচ্ছে নড়াইলের জৈব সার ।

জানা গেছে, উজিরপুর অর্গানিক সমিতির তৈরি করা চিত্রা জৈব সার নড়াইলে বেশ জনপ্রিয়। চারটি উপাদানে তৈরী হচ্ছে এই জৈব সার। উপাদানগুলো হলো এজোলা (এক প্রকার শ্যাওলা, যাতে প্রোটিন, ইউরিয়া, এমওপি ও ফসফরাসসহ বিভিন্ন মৌল ও গৌণ উপাদান রয়েছে), অ্যাজোফস, ভার্মি কম্পোষ্ট (কেঁচো সার) ও ট্রাইকো ডারমা মিশ্রিত কম্পোস্ট (এর মধ্যে রয়েছে গোবর, কচুরিপানা, কাঠের গুড়া, চা পাতি বর্জ্য, ধানের চিটা, মুরগির বিষ্টা, সরিষার খৈল, হাড়ের গুড়া, গবাদি পশুর শিংয়ের গুড়া ও শামুক-ঝিনুকের গুড়া)। এই জৈব সার প্রস্তুত ও  প্যাকেট জাত করতে সময় প্রয়োজন ৪০দিন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, যে কোনো জাতের ধান উৎপাদনের জন্য প্রতি শতকে আধা কেজি, রবিশস্যের জন্য এক কেজি ও সবজির জন্য শতকে দুই কেজি জৈব সার প্রয়োজন হলেও একই জমিতে রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে হয় কয়েকগুণ বেশী। প্রথম অবস্থায় এসব জমিতে জৈব সারের পাশাপাশি রাসায়নিক সার সামান্য প্রয়োজন হলেও ৪ থেকে ৫ বছর পরে রাসায়নিক সারের আর প্রয়োজন পড়ে না। তখন জমিতে এই জৈব সার সামান্য ব্যবহার করলেই চলে। কৃষকের এতে খরচও কমে এবং জমির উর্বরা শক্তিও বাড়ে।

নড়াইলের উজিরপুর গ্রামের কৃষক সুমন ভট্ট্যাচার্য্য জানান, এ বছর কাড়ার বিলে তার ৩০ শতক জমিতে রাসায়নিক সার  এবং ৩০ শতক জমিতে জৈব সার ব্যবহার করে পটল উৎপাদন করেেছন। যে জমিতে চিত্রা জৈব সার ব্যবহার করা হয়েছিল সে জমির ফসল অনেক ভালো হয়েছে। খরচও রাসায়নিক সারের জমির অর্ধেক হয়েছে। একই গ্রামের কৃষক টিটো মোল্যা জানান, এই মৌসুমে  এক একর জমিতে রাসায়নিক সারের পাশাপাশি এ জৈব সার ব্যবহার করে ভালো ফলন পেয়েছি।

সদরের বীড়গ্রাম এলাকার পানচাষি সুকান্ত গাইন জানান, তার ৪৫ শতকের পানের বরজে এ বছর পরীক্ষা করার জন্য অর্ধেক জমিতে রাসায়নিক এবং বাকি অর্ধেকে চিত্রা জৈব সার ব্যবহার করা হয়েছে। যে অর্ধেকে জৈব সার দিয়েছি সেখানকার পানের চেহারা রাসায়নিক সারের অংশের চেয়ে ভালো হয়েছে। আবার রাসায়নিক অংশে খরচ হয়েছে শতক প্রতি ৩৪৫ টাকা সেখানে জৈব অংশে খরচ মাত্র ১৫০ টাকা। এবারে ভালোভাবে পান উঠে গেলে আগামীতে সম্পূর্ন বরজে চিত্রা জৈব সারই ব্যবহার করব। সদরের ভদ্রবিলা গ্রামের সাইদ মন্ডল জানান, ৪০ শতক জমিতে পানের বরজে এই সার ব্যবহার করে অন্য যে কোনো বছরের তুলনায় ভালো ফলন হয়েছে।

উজিরপুর অর্গানিক বহুমুখি সমবায় সমিতির সাধারন সম্পাদক সায়েদ আলী শান্ত জানান, বর্তমানে মাসে ২৫ টন সার তৈরী হচ্ছে। কক্সবাজারের চকোরিয়ার এ্যাডভান্স মাল্টি র্ফার্মা লিমিটেড নামে একটি বেসরকারী সংস্থা প্রতি বছরে ৪০০ মেট্রিক টন সার কিনছে। এছাড়া স্থানীয় কৃষকরা সাড়ে ৩০০ একর জমিতে তাদের উৎপাদিত এই সার ব্যবহার করছেন এবং ভালো ফল পাচ্ছেন। ব্যবহার বাড়ার পলে এ বছর চিত্রা জৈব সারের উৎপাদন আরো বাড়াতে হবে বলে মনে করেন তিনি ।

নড়াইল কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শেখ আমিনুল হক জানান, অতিরিক্ত  রাসায়নিক সার প্রয়োগের ফলে জমিতে জৈব পদার্থ কমে যাচ্ছে। জমিতে ৫ ভাগ জৈব পদার্থ থাকার নিয়ম থাকলেও বর্তমানে আছে এক ভাগেরও কম। সেখানে চিত্রা জৈব সার উৎপাদনের উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগ এ সার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে একটি ইতিবাচক প্রতিবেদন দেওয়ায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উজিরপুর অর্গানিক সমিতিকে বানিজ্যিকভাবে ‘চিত্রা জৈব সার’ উৎপাদনের জন্য নিবন্ধন দিয়েছেন। কৃষির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কৃষি বিভাগের প্রচার এবং কৃষকদের আরো সচেতন করে তোলা গেলে জৈব সার ব্যবহারে উৎসাহ বাড়বে।

মেহেরপুরে তৈরি সোলার কম্পোস্ট ফার্টিলাইজারে কৃষিতে বিপ্লব

মেহেরপুরে তৈরি হচ্ছে সোলার কম্পোস্ট ফার্টিলাইজার (জৈব সার)। একবার এই জৈব সার জমিতে প্রয়োগ করলে দ্বিতীয়বার ফসলের জন্য জমিতে আর কোন সার দিতে হয় না। এ সার জমিতে দেওয়া হলে ফলন বাড়ে। ফসলে কীটপতঙ্গের উপদ্রবও কম হয়। যে কারণে দিন দিন মেহেরপুরে এ সারের চাহিদা ও উৎপাদন বাড়ছে।

মেহেরপুর শহরের স্টেডিয়ামপাড়ার বাসিন্দা মো. আব্দুল্লাহেল বাকি সোলার কম্পোস্ট ফার্টিলাইজারের উদ্ভাবক। ব্রিটিশ-আমেরিকা ট্যোবাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডে (বিএটিবি) চাকরির অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি দেশের কৃষির উন্নয়নে এ সার তৈরিতে মনোনিবেশ করেন। আব্দুল্লাহেল বাকির তত্বাবধানে মেহেরপুর শহরের উপকণ্ঠ খন্দকারপাড়ার চাষী মো. আব্দুল্লাহ তার বাড়িতে সোলার কম্পোস্ট ফার্টিলাইজার তৈরি করছেন। তিনি নিজের ফসলি জমিতে এ সার প্রয়োগ ও সার বিক্রি করে ব্যাপক  লাভবান হচ্ছেন। চাষীরাও এ সার ব্যবহার করে সুফল পাচ্ছেন।

সরেজমিনে খন্দকারপাড়ার আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সোলার কম্পোস্ট ফার্টিলাইজার তৈরির কারখানা। এসময় মেহেরপুর সদর উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা লুৎফর রহমানের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন একমাত্র সোলার কম্পোস্ট ফার্টিলাইজার (জৈব সার) কৃষিতে বিপ্লব ঘটাতে সক্ষম।  এদিকে আব্দুল্লাহ এ সার তৈরির ওপর ধারণা দিতে গিয়ে দেখান- ৭ ফুট লম্বা, ৫ ফুট প্রস্থ ও ৩ ফুট গভীরতার একটি কম্পোস্ট পিট অর্থাৎ মাটির গর্ত। সারের উপাদানের কথায় তিনি জানান, পরিমান মত গোবর, খৈল, হাড়ের গুড়া, হাঁস-মুরগীর বিষ্টা, বাদুড়ের বিষ্টা (সম্ভব হলে), সবুজ লতা-পাতা (যেমন- ধইনচা, ইপিল-ইপিল পাতা, কপির পাতা ইত্যাদি), নিম পাতা, আখের পাতা, কচুরীপানা, তামাকের ডাটা চুর্ণ, বিচালী চুর্ণ, নীম পাতা, কলাই ও লাল শাকের ভূষিসহ প্রায় ১৫টি দ্রব্য পানিতে মিশাতে হবে। এর পর মাটির গর্তের মধ্যে পলিথিনের ওপর রেখে পালিথিন দিয়ে সব মিশ্রিত উপাদান ঢেকে দিতে হবে। তার ওপর ভিজা চটের বস্তা দিয়ে ঢেকে দিতে হয়। পঁচনের গতি বাড়ানোর জন্য মিশ্রণে ৫ কেজি করে ড্যাব ও ইউরিয়া সার দেওয়া যেতে পারে। ৩০ দিনের মাথায় এ পলিথিনে ঢাকা মিশ্রণ উল্টে দিয়ে ফের মাটির গর্তে রাখতে হবে। এর পর ৩০ দিন পরে মাটির গর্ত থেকে তৈরি সোলার কম্পোস্ট ফার্টিলাইজার (জৈব সার) তুলে জমিতে ব্যবহার করা যাবে। এভাবে বছরে ৪ থেকে ৫ বার একই গর্তে এ সার তৈরি সম্ভব। প্রতিবার প্রায় দুই টন করে সোলার কম্পোস্ট ফার্টিলাইজার উৎপাদন করাও সম্ভব। মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের চাষী হান্নান মিয়া ও ভিকু মিয়া বলেন, তারা ৮ বিঘা জমিতে রাসায়নিক সার ব্যবহার করায় পোকা-মাকড় ও ভাইরাসে ফসল আক্রান্ত হয়। যে কারণে ভাল ফসল পাননি। কিন্তু ওই জমির পাশে চার বিঘা জমিতে সোলার কম্পোস্ট ফার্টিলাইজার ব্যবহার করে রোগমুক্ত দ্বিগুণ ফসল পেয়েছেন। দফরপুর গ্রামের প্রকৌশলী হাজি নূর ইসলাম জানান, তিনি পরীক্ষামূলকভাবে এক বিঘা জমিতে এই সার ব্যবহার করে পাট চাষ করেছিলেন। এতে তিনি আশাতীত ফলন পেয়েছেন। এর পর ওই জমিতে আর সার ব্যবহার না করেই কলাই চাষ করেন। এতেও তিনি খুব ভাল ফলন পেয়েছেন। সফলতা পাওয়ায় তিনি এই সার ব্যবহার করে চলতি রবি মৌসুমে অন্য জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। এতেও তিনি ব্যাপক লাভবান হবেন বলে আশাবাদী। খন্দকারপাড়ার আব্দুল্লাহ জানান, তিনি এক বিঘা জমিতে এই সার ব্যবহার করে পাট চাষ করেন। পাট ১৬ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয় এবং প্রতি বিঘাতে ১৬ মন করে পাট পেয়েছেন। টেংগার মাঠে ইয়াকুব আলী জৈব সার ব্যবহার করে গোল আলুর চাষ করেছিলেন। তিনি প্রতি বিঘাতে ১৭০ মন থেকে ১৮০ মন ফলন পেয়েছেন। তার প্রতিটি আলুর ওজন সাড়ে ৪০০ গ্রাম থেকে  ৭৩৫ গ্রাম পর্যন্ত ওজন হয়েছিল। এই সার ব্যবহারে জমির উর্বরতা নষ্ট না হয়ে দ্বিগুন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তেমনি ফসলে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ ও রোগ-বালাই কম হচ্ছে। বিষমুক্ত ফসল পাওয়াও যাচ্ছে। এদিকে এ সার ব্যবহারে সুফলতা পাওয়ায় আশে-পাশের বিভিন্ন গ্রামের চাষীরা নিজ নিজ বাড়িতে জৈব সার প্রস্তুতির উদ্যোগ নিয়েছেন। সোলার কম্পোস্ট ফার্টিলাইজারের উদ্ভাবক আব্দুল্লাহেল বাকি বলেন, এই সার ব্যবহারের ফলে মাটিতে কেঁচো, ব্যাক্টেরিয়া, আনুজীব জীবিত থাকে এবং গাছের খাদ্য গ্রহণে সহযোগিতা করে। মাটিতে অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, ক্যালসিয়ামসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপদান বাড়াতে সহযোগিতা করে। ক্ষতিকারক হিসেবে বেশি বেশি রাসায়নিক সার ব্যবহার না করার জন্য তিনি চাষীদের অনুরোধ করেন। তিনি আরো বলেন, দেশে এ সার উৎপাদন ও ব্যবহার হলে দেশের এক কোটি ৪৭ লাখ কৃষক পরিবার উপকৃত হবে। প্রতি বছর প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার রাসায়নিক সার সাশ্রয় হবে। মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম কামরুজ্জামান বলেন, এই সার ব্যবহারে কৃষক সফলতা পাচ্ছেন জেনে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

মাটির জৈব সারের ঘাটতি কমাতে ধৈঞ্চা চাষ: মেহেরপুরে মাটির জৈব ঘাটতি কমাতে কৃষি বিভাগ ধৈঞ্চা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছে। চলতি বছর মেহেরপুরে ২ হাজার ২৩৫ হেক্টর জমিতে ধৈঞ্চা চাষ হয়েছে। জানা গেছে, মেহেরপুরের আবাদী জমিতে মাত্রারিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারে মাটির প্রয়োজনীয় জৈব ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলে ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে না। মাটির স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে অধিক সময় ফসল উৎপাদনের মতা থাকছে না। মাটির ধারণ মতা কমে গেছে। মাটির অনুজীবগুলো সক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারছে না। ফসলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে। মাটির মান সঠিক নেই। সর্বোপরি উৎপাদিত ফসলের স্বাভাবিক রং, গন্ধ ও স্বাদ নষ্ট হয়ে গেছে।

বিশেষজ্ঞদের এমন সব মন্তব্যে মেহেরপুরের মাটি পরীক্ষা করে জৈব ঘাটতি দেখা দেওয়ায় মেহেরপুরের কৃষি বিভাগ নড়ে চড়ে বসেছে। মাটির জৈব ঘাটতি পূরনে চাষিদের ব্যাপক হারে ধৈঞ্চা চাষের পরামর্শ দিয়েছে। মেহেরপুরে আবাদ যোগ্য জমির পরিমাণ ৬০ হাজার ১৮৩ হেক্টর। কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, মাটিতে স্বাভাবিক পর্যায়ে শতকরা ৫ ভাগ জৈব পদার্থ থাকা দরকার। সে ক্ষেত্রে মেহেরপুরের মাটিতে শতকরা এক ভাগেরও কম জৈব পদার্থ আছে। এসব কিছু না বুঝে মেহেরপুরের চাষিরা বেশী ফলন পাওয়ার জন্য মাটিতে মাত্রারিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহার করছে। এতে দিনে দিনে মাটির স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মেহেরপুর কৃষি বিভাগ আবাদী জমির জৈব ঘাটতি পূরণে কৃষকদের বেশী বেশী ধৈঞ্চা চাষের পরামর্শ দিয়েছে। চলতি বছরে মেহেরপুরে ২ হাজার ৪৪০ হেক্টর জমিতে ধৈঞ্চা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। তবে ধৈঞ্চা চাষ হয়েছে ২ হাজার ২৩৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে রোপা আমনের বিপরীতে এক হাজার ৮৩৫ হেক্টর জমিতে ধৈঞ্চা চাষ করা হয়েছে। মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের কৃষক ফিরোজ মাষ্টার বলেন, অতীতে ধৈঞ্চা চাষ করে খড়ি সংগ্রহ করা হত। ব্যবহার হত জ্বালানীর কাজে, পান বরজ, শশা, ঝিঙা, করোলা ইত্যাদির জন্য। কৃষক খুব বেশী জানত না মাটির জৈব ঘাটতি পূরণে ধৈঞ্চা চাষ করে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হয়। কৃষক জানে আবাদী জমিতে রাসায়নিক সার ও বিষ প্রয়োগে বেশী বেশী ও সুস্থ্য শাক-সবজি পাওয়া যাবে।

মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ কে এম কামরুজ্জামান বলেন, জমিতে সুসম মাত্রায় রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে হবে। সেক্ষেত্রে মেহেরপুরের চাষিরা বেশি ফলনের আশায় জমিতে মাত্রারিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহার করেন। জ্বালানী কাঠের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় গরু-মহিষের গোবর জৈব সার তৈরির কাজে ব্যবহার না হয়ে জ্বালানীর জন্য বড়ির কাজে ব্যবহার হচ্ছে। জমির বিশ্রাম যেটা দরকার জমি সেটা পাচ্ছে না।