মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। দিন যত এগুচ্ছে পরিস্থিতি তত জটিল রূপ ধারণ করতে শুরু করেছে। এরইমধ্যে ঝাড়খণ্ডে বিক্ষোভে দুই জন নিহতের খবর পাওয়া গেলো। সেখানে গতকাল শুক্রবার নবী অবমাননার প্রতিবাদ জানাতে বিশাল বিক্ষোভ ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সেই বিক্ষোভই এক পর্যায়ে হিংসাত্মক রূপ ধারণ করে। এতে ২ জন নিহতের পাশাপাশি ১০ জন আহতও হয়েছেন। এ খবর দিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
খবরে জানানো হয়, ওই সংঘর্ষের পর সেখানে কারফিউ জারি করেছে পুলিশ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন। এদিকে ঘটনাস্থল রাঁচি পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অনীশ গুপ্ত বলেছেন যে উত্তেজনা সামান্যই রয়েছে, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে।
এদিকে বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার গ্রেপ্তারের দাবিতে শুক্রবারও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে অবরোধ ডাকা হয়েছিল। অবরোধ ঠেকাতে একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ।
তারমধ্যেই কলকাতার পার্ক সার্কাস মোড় পথ অবরোধ করেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে অবরোধ। হাওড়াতেও একই রকম পথ অবরোধ দেখা যায়। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করে বিক্ষোভকারীরা। বর্ধমান শহরেও প্রতিবাদ মিছিল করেন মুসলিমরা। এছাড়া ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যেই থেমে থেমে বিক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। নূপুরকে দল থেকে বহিষ্কার করাই যথেষ্ট মনে করছেন না বিক্ষুব্ধরা। তাদের দাবি, নূপুর শর্মাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে।