বিজনেসটু২৪ প্রতিনিধি
মাদারীপুর: জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার নির্দশনা দেয়ার পরে শুক্রবার সকাল থেকে শিবচরে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে মাদারীপুরের শিবচরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ঔষধ কাঁচাবাজার, মুদি দোকান ছাড়া অন্যসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসন। এছাড়াও গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণার ফলে বিভিন্ন হাট-বাজার ও আবাসিক এলাকায় লোক সমাগম অন্য দিনের তুলনায় একেবারে কমে গেছে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষ বাইরে বের হচ্ছে না।
করোনা আতংকের প্রভাব পড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারে। চালের দাম বেড়েছে প্রতি বস্তায় প্রকার ভেদে ২০০-৩০০টাকা পর্যন্ত।
কার্যত লকডাউন শিবচর উপজেলা। কাগজে-কলমে প্রশাসন ঘোষণা না দিলেও রাস্তাঘাট, দোকানপাটে নেই জনসমাগম। খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বের হচ্ছে না মানুষ।
স্বাস্থ্য বিভাগও দেশের সর্বোচ্চ ঝুঁর্কিপূণ ঘোষণা করেছে শিবচর উপজেলাকে করোনার জন্য। এতে আতংকিত মাদারীপুরের অন্য উপজেলার মানুষও। এই সুযোগে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে দোকানিরা। যদিও প্রশাসন বলছে, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বাজার ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ রাখা হবে।
করোনা সংক্রমণ রোধে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় ঔষধের দোকান, কাঁচাবাজার ও মুদি দোকান ছাড়া বাকি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণার পরে থেকে জেলা জুড়েই এর প্রভাব পড়েছে। বেড়ে গেছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। শিবচরের বিভিন্ন হাট-বাজার জনশূণ্য। আতংক দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
মাদারীপুরের সিভিল সার্জন মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মাদারীপুর জেলায় সম্প্রতি বিদেশ থেকে ফিরেছে অন্তত ৩ হাজারের বেশি, যার অধিকাংশই শিবচর উপজেলার বাসিন্দা। এ পর্যন্ত যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে তার বেশি ভাগই শিবচরের। হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে তাদেরকে।
মাদারীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন বলেন, করোনার মতো ইস্যুকে নিয়ে যারা প্রতারণা করছেন তাদের ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, করোনা সংক্রমণ এড়ানোর জন্য শিবচর পৌরসভার ২টি ওয়ার্ড ও ২ ইউনিয়নের ২গ্রামের জনগনের চলাচল সীমিত করা হয়েছে। এই উপজেলার গণপরিবহন বিশেষ করে বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গণজমায়েতসহ সব ধরনের মিছিল মিটিং বন্ধ রাখা হয়েছে। তিনি শিবচর উপজেলাকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করেন। কারণ বলেন, প্রবাসী লোকের সংখ্যা বেশি এখানে।
মাদারীপুরের চার উপজেলা, চার পৌরসভা ও ৬০টি ইউনিয়নে করোনা প্রতিরোধে কমিটি করেছে প্রশাসন। এছাড়া জেলা প্রশাসন থেকে একটি সেলও গঠন করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে আতংকিত না হয়ে সচেতন হওয়ার আহবান জানান জেলা প্রশাসক। করোনার সুযোগে যারা অহেতুক জিনিসপত্রের দাম বাড়াবে অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হবে বলে জানান তিনি।