Home আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল পণ্য বাজারে ধস

টেক্সটাইল পণ্য বাজারে ধস

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক : টেক্সটাইল পণ্য বাজারে ধস নেমেছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের মতো দেশের ব্যবসা বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়ায় বন্ধ রয়েছে লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকার মত দেশগুলোতে পুরনো কাপড় রপ্তানি। ব্যবসা বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়ায় ক্রেতাশূন্য স্থানীয় দোকানপাটও।

কাপড় থেকে করোনা ছড়াতে পারে, এমন আতঙ্কে কেনিয়ায় পুরনো কাপড় রপ্তানি বন্ধ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে। ২০১৮ সালেও কেনিয়ার মতো দেশে ১ লাখ ৭৬ হাজার টন বাড়তি কাপড় রপ্তানি হয়েছিল। পূর্ব আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম কাপড়ের মার্কেট নাইরোবির এই মার্কেট এখন ক্রেতাশূন্য। অলস সময় পার করছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। আফ্রিকা, পূর্ব ইউরোপ আর লাতিন আমেরিকার দেশগুলো কমদামি এসব কাপড়ের ওপরই নির্ভর করে।

বাজারের বেহাল দশা তুলে ধরে ব্যবসায়ীরা বলেন, কাপড় তো সরাসরি কিনতে পারি না। যারা পাইকারি কেনে, তাদের কাছ থেকে কিনে নেই। কিন্তু এখন তো কাপড়ও নেই, টাকাও নেই। করোনার আগে দিনে ৫০টা ট্রাউজারও বিক্রি করেছি। এখন একটাও বিক্রি করতে পারি না। যে কাপড় নিয়ে আসি, ওই কাপড় নিয়েই ফেরত যাই। আগের মতো কর্মচারীও নেই এখানে।

জাতিসংঘের বিশ্ব বাণিজ্যিক তথ্য বলছে, ২০১৯ সাল পর্যন্ত গেলো ৫ বছরে অন্তত ৪শ’ কোটি ডলারের পুরনো কাপড় রপ্তানি হয়েছে। পুরনো কাপড় রপ্তানিতে সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র আর ইউরোপ। জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক প্রকল্প বলছে, ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির কারণে বছরে অনেক বেশি পানির অপচয় হয় এবং কার্বন নি:সরণ হয়। এ হার আন্তর্জাতিক বিমান পরিচালনা আর সমুদ্রে জাহাজ চলাচলেরও দ্বিগুণ। কাপড় থেকে আবার বিপুল পরিমাণ বর্জ্যও তৈরি হয়। বছরে ৩ লাখ টন কাপড় পোড়ানো হয়। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি হয় ১ কোটি ৭০ লাখ টন টেক্সটাইল বর্জ্য।

লন্ডন থেকে লস এঞ্জেলস, করোনার গ্রাসের কালো ছায়া দৃশ্যমান সবখানে। সাশ্রয়ীমূল্যে ফুটপাতে বসা পুরনো কাপড়ের দোকানগুলো এখন ক্রেতাশূন্য। কোটি কোটি ডলারের এ বাজার স্থবির হয়ে পড়েছে। রপ্তানিকারকরা যুদ্ধ করে টিকে আছে। একই অবস্থা ব্যবসায়ী আর ক্রেতাদেরও।

ক্ষতির মুখে পড়া ব্রিটিশ ব্যবসায়ীরা বলেন, আগের তুলনায় অনেক লোকসানে কাপড় বিক্রি করতে হচ্ছে। লোকসানের কারণে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি আর নেদারল্যান্ডসের মতো দেশ রাস্তায় কাপড়ের দোকান তুলে দিচ্ছে। আগের মতো বিক্রি নেই, তাই আগের মতো অর্থের যোগানও নেই। লকডাউনে কিছুই বিক্রি করতে পারিনি। ইউরোপসহ সারা বিশ্ববাজারই স্থবির হয়ে গেছে। আমাদের ওয়্যারহাউজেও কাপড় আছে কিন্তু বিক্রি নেই।