নরসিংদী থেকে সাইফুল ইসলাম রুদ্র: পাঁচদোনা-ঘোড়াশাল-টঙ্গী আঞ্চলিক সড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ৪ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৮ জন। এদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহত ৪ জনকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার রাত ১২টার দিকে পাঁচদোনা-ঘোড়াশাল-টঙ্গী সড়কের নরসিংদী সাকুরার মোড়ে দ্রতগামী ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনামুল হক সাগর এ তথ্য নিশ্চিত করছেন।
নিহতরা হলেন- সাভারের আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার আব্দুর রশিদের স্ত্রী রবি আক্তার (৩৩), তার মেয়ে রাইমা খান (৫) ও তার ভাতিজা সাদেক খান (৮), কাদির মিয়ার স্ত্রী সামসুননাহার (৬০)।
আহতরা হলেন- রাজিয়া (৪০), ইউসুফ মিয়ার ছেলে রশিদ (৪০), জাহের আলীর ছেলে কাজিম উদ্দিন (৪২), সাইফুল ইসলামের মেয়ে সাইফা (১২), হারন মিয়ার স্ত্রী শারমীন (৪০) ও মেয়ে ইসরাত জাহান (৮) ও অজ্ঞাত (৪০)।
জানা যায়, শনিবার সকালে পরিবারের ১৪ জন সদস্য নিয়ে একটি মাইক্রোবাসযোগে আব্দুর রশিদ সভারের আশুলিয়ার জিরাবো থেকে সিলেটে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে মাইক্রোবাসটির পাঁচদোনা-ঘোড়াশাল-টঙ্গী সড়কের সাকুরা মোড়ে দ্রতগামী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে রবি আক্তার ও তার মেয়ে রাইমা মারা যায়।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠায়। এদের মধ্যে গুরতর আহত ৪ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
দুর্ঘটনার পরপরই পাঁচদোনা-ঘোড়াশাল-টঙ্গী সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহনগুলো রাস্তা থেকে সরিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক করে।
আহত যাত্রী আব্দুর রশিদ বলেন, সিলেটে মাজার জিয়ারত শেষে জাফলং বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফেরার পথে একটি ট্রাক আমাদের মাইক্রোবাসের উপর উঠিয়ে দেয়। এরপর দেখি আমার স্ত্রী ও মেয়েসহ পরিবারের সদস্যরা রাস্তার উপর পড়ে আছে।
চিকিৎসক ডা. আসাদ বলেন, গুরুতর আহত ৪ জন নারীকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে দুইজনের হাত থেতলে গেছে। আর ৪ জনই মাথায় গুরতর আঘাত পেয়েছে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনামুল হক সাগর বলেন, দুর্ঘটনায় নারী ও শিশু মারা গেছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করা হয়েছে।