Home First Lead কমতে শুরু করেছে ডিমের দাম

কমতে শুরু করেছে ডিমের দাম

আমদানি করা ডিম বাজারে পৌঁছার সাথে সাথে দাম কমতে শুরু করেছে। যশোরের খুচরা বিক্রেতাদের কয়েকজন এ প্রসঙ্গে বললেন, এতদিন সরকার বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও কোন সুফল মেলেনি। কিন্তু আমদানি শুরু হওয়ার সাথে সাথে বাজার নিম্নমুখী হয়েছে। ইতঃমধ্যে দাম কমেছে প্রতিটিতে ১ টাকা করে। আরও চালান খালাস হলে দ্রুত দর নেমে আসবে স্বাভাবিক পর্যায়ে। যে ডিম সাড়ে ১১ টাকায় খুচরা বিক্রেতাদের সরবরাহ করা হচ্ছিল সেই একই ডিম খুচরা বিক্রেতারা পাচ্ছেন সাড়ে ১০ টাকায়। 

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

যশোর: ভারত থেকে আমদানি করা ডিমের চালান বাজারে আসার ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাজার হয়েছে নিম্নমুখী। ভোক্তাদের দাবি কম সময়ের মধ্যে আরও ডিম আসুক, তাহলে সিন্ডিকেট ভেঙ্গে যাবে এবং বাজার স্বাভাবিক হবে।

সিন্ডিকেটের কারসাজিতে হু ‍হু করে বেড়ে গেছে ডিমের দাম। বলা যায় তা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। সবখানে হৈচৈ পড়ে যায় ডিমের দাম নিয়ে। এ অবস্থায় সর্বোচ্চ দাম  সাড়ে ১২ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। কিন্তু তাতে কোন কাজ হয়নি। ভোক্তারা সেটা মানেনি, প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠেন। শেষ পর্যন্ত সরকার আমদানির অনুমতি দেয়। ভারত থেকে ডিমের প্রথম চালান খালাস হয়েছে। আরও বিপুল পরিমাণ ডিম পাইপলাইনে রয়েছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানিকরা ডিমের ট্রাক। ছবি: সংগৃহীত 

আমদানি করা ডিম বাজারে পৌঁছার সাথে সাথে দাম কমতে শুরু করেছে। যশোরের খুচরা বিক্রেতাদের কয়েকজন এ প্রসঙ্গে বললেন, এতদিন সরকার বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও কোন সুফল মেলেনি। কিন্তু আমদানি শুরু হওয়ার সাথে সাথে বাজার নিম্নমুখী হয়েছে। ইতঃমধ্যে দাম কমেছে প্রতিটিতে ১ টাকা করে। আরও চালান খালাস হলে দ্রুত দর নেমে আসবে স্বাভাবিক পর্যায়ে। যে ডিম সাড়ে ১১ টাকায় খুচরা বিক্রেতাদের সরবরাহ করা হচ্ছিল সেই একই ডিম খুচরা বিক্রেতারা পাচ্ছেন সাড়ে ১০ টাকায়।

এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যশোরের সহকারী পরিচালক তামান্না তাসনিম বলেছেন, কয়েকদিন ধরে ১২ টাকায় ডিম বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় ডিম আসায় দাম আরও কমেছে। এভাবে ডিম আসা অব্যাহত থাকলে সামনে দাম আরও কমবে বলে তিনি আশা করেন।

লোকসানের মুখে বন্ধ হয়ে যাওয়া এক পোল্ট্রি খামার মালিক জানান, ‘পোল্ট্রি শিল্প  পুঁজিপতিদের হাতে চলে গেছে। তাদের কারণে যশোরে অসংখ্য ছোট খামার বন্ধ হয়ে গেছে। এখন হাতেগোনা দু’ তিনটি কোম্পানির ডিম এবং বাচ্চা মার্কেটে রয়েছে। বড় বড় কোম্পানির কৌশল কখনো কখনো দাম কমিয়ে দিয়ে অপেক্ষাকৃত ছোট প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে । আবার কৌশলে তারা গলা কাটে ক্রেতাদের।’