বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: ডিসেম্বরে প্রবাসী আয় এসেছে ১৬২ কোটি ৯০ লাখ ডলার। তা নভেম্বরের চেয়ে ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেশি। তবে, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে আসা প্রবাসী আয়ের তুলনায় ২০ দশমিক ৫৫ শতাংশ কম।
ডিসেম্বরে নভেম্বরের তুলনায় ৭ কোটি ৫৩ লাখ ডলার প্রবাসী আয় বেশি এসেছে। বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স পাঠানোর ওপর সরকার নগদ প্রণোদনা বৃদ্ধি করেছে। সুফল হিসেবে প্রবাসী আয়ের পরিমান বেড়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।
গত শনিবার রেমিট্যান্সের প্রণোদনা বাড়িয়ে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি আদেশ জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী গত নভেম্বরে ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। আর ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ২০৫ কোটি ৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে দেশে। অবশ্য করোনা মহামারী দেখা দিলে ২০২০ সালে অনেক প্রবাসী কর্মী দেশে ফেরত আসে। অনেকে তাদের সঞ্চয়সহ ফেরত আসে বলে রেমিট্যান্স বাড়ছিল বলে জানিয়ে আসছিলেন বিশেষজ্ঞরা।
বিদায়ী ২০২১ সালের জুন মাস থেকে নভেম্বর পর্যন্ত টানা ৬ মাস রেমিট্যান্স প্রতিমাসেই আগের মাসের তুলনায় কমেছে। সেই দিক দিয়ে ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স কিছুটা বেড়েছে।
বিদায়ী ২০২১ সালে মোট ২ হাজার ২০৭ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এক পঞ্জিকা বছরে এত বেশি রেমিট্যান্স আগে কখনো আসেনি। এর আগের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালে ২ হাজার ১৭৪ কোটি ডলার। ২০১৯ সালে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ৮৩৩ কোটি ডলার।
বিশ্বব্যাংকসহ অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা রেমিট্যান্সের পঞ্জিকা বছরের হিসাব ধরে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থবছরের হিসাব ধরে রেমিট্যান্সের প্রতিবেদন প্রকাশ করে থেকে।
অর্থবছরের ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি এর আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ২৩ কোটি ৭৯ লাখ ডলার। তা আগের অর্থবছরের একই সময়ে আসা রেমিট্যান্সের তুলনায় ২০ দশমিক ৯০ শতাংশ কম। ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর ১ হাজার ২৯৪ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
অর্থবছরের বাকি ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) আরও ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আশা করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গত শনিবার রেমিট্যান্সের প্রণোদনা বাড়ানোর বিষয়টি তুলে ধরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অর্থমন্ত্রী বলেন, রেমিট্যান্সের ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য প্রণোদনা বাড়ানো হয়েছে। এই বর্ধিত প্রণোদনা প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচ পুষিয়ে নিতে সাহায্য করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।