আবারও ব্রিটিশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। ঋষি সুনাক নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাকে।
বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডেভিড ক্যামেরনকে নতুন পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি পররাষ্ট্র দপ্তরে যাওয়ার সময় হাসিমুখে ছিলেন।
ক্যামেরন তার সামাজিক মাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘যদিও আমি গত সাত বছর ধরে সামনের সারির রাজনীতির বাইরে ছিলাম, আমি আশা করি আমার কনজারভেটিভ নেতা হিসেবে এগারো বছরের এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ছয় বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারব।’
তিনি যোগ করেছেন, যদিও আমি সুনাকের কিছু ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করতে পারি, তবে তিনি একজন শক্তিশালী ও সক্ষম নেতা।
এদিকে ফিলিস্তিনপন্থী মিছিলে পুলিশের হস্তক্ষেপের সমালোচনা করায় বরখাস্ত হয়েছেন যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান। ঋষি সুনাক সোমবার তাকে বরখাস্ত করেছেন বলে একটি সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ঋষি সুনাক বিরোধী সংসদ সদস্য এবং তার নিজের দল ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের চাপের মুখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্র্যাভারম্যানকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সূত্রটি রয়টার্সকে জানিয়েছে।
সান ট্যাবলয়েডের রাজনৈতিক সম্পাদক বলেছেন, পররাষ্ট্র সচিব জেমস ক্লিভারলি ব্র্যাভারম্যানের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
গত সপ্তাহে ব্র্যাভারম্যান ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে পুলিশের হস্তক্ষেপকে ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড’ আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ জানান এবং একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেন। এদিকে বিরোধী দল লেবার পার্টি বলেছে, এর জেরে শনিবার ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
সুনাক তার মন্ত্রিসভায় বড় আকারের পরিবর্তন ঘটাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিছু মন্ত্রীদের সরিয়ে তার মিত্রদের নিয়ে আসবেন বলেও শোনা যাচ্ছে। বিশেষ করে ডাউনিং স্ট্রিটের অফিস থেকে যাদের বলা হয়েছিল, বিভাগ যেভাবে চেয়েছে ওভাবে কাজ হচ্ছে না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যানকে অব্যাহতি দেওয়ার খবর প্রকাশের পর থেকেই শুরু হয় আলোচনা। ফিলিস্তিনের পক্ষে ব্রিটিশদের আন্দোলনে পুলিশি ভূমিকা নিয়ে গত সপ্তাতে এক নিবন্ধে প্রশ্ন তোলেন ব্রেভারম্যান। তার ওই মন্তব্য ফিলিস্তিনপন্থীদের আরও উসকে দিয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এতে করে চাপে পড়েন ঋষি সুনাক। এরপরই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ব্রেভারম্যানকে।
এরপর ব্রেভারম্যানের স্থলাভিষিক্ত হন জেমস ক্লেভারলি। তিনি ছিলেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ায় শূন্য হয়ে পড়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ। সেখানে নিয়োগ দেওয়া হলো ডেভিড ক্যামেরনকে।
২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ব্রেক্সিটের গণভোটের ফল প্রকাশের পর তিনি পদত্যাগ করেছিলেন।