Home আন্তর্জাতিক আবার বড় ধরনের করোনা সংক্রমণের মুখে চিন

আবার বড় ধরনের করোনা সংক্রমণের মুখে চিন

ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

উহানের পরে দ্বিতীয়বার বড় ধরনের করোনা সংক্রমণের মুখে পড়ছে চিন। করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট ঠেকানোর জন্য সেদেশের বহু শহরে লকডাউন করা হয়েছে। ফলে ঘরে আটকে পড়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। দেশ জুড়ে চলাফেরায় বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। এদিন চিনে নতুন করে ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫ জন। দেশের এক ডজন প্রদেশের ২০ টি শহর জুড়ে ছড়িয়েছে ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট।
হুনান প্রদেশের ঝুঝৌ শহরে তিনদিন কড়া লকডাউন জারি করা হয়েছে। অন্তত ১২ লক্ষ মানুষ গৃহবন্দি হয়ে আছেন। প্রশাসন বলেছে, “পরিস্থিতি খুব জটিল”।

২০১৯ সালের শেষে উহান শহরে প্রথমবার করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়। পরে চিন গর্বের সঙ্গে দাবি করেছিল, করোনাকে নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। নতুন সংক্রমণ নামিয়ে আনা হয়েছে প্রায় শূন্যে। কিন্তু পরে নানজিং শহর থেকে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট ছড়াতে শুরু করে। সেখানে একটি বিদেশি বিমান পরিষ্কার করতে গিয়ে সাফাইকর্মীরা প্রথমে ওই ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত হন। ওই শহরে গত সপ্তাহে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩০০ জন।
নানজিং পুর প্রশাসনের এক স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানিয়েছেন, ১০ জুলাই রাশিয়া থেকে একটি বিমান নানজিং বিমান বন্দরে অবতরণ করে। সেই বিমানটি পরিষ্কারের কাজে যাঁরা নিযুক্ত ছিলেন, তাঁদের মধ্যে প্রথমে ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের সংক্রমণ হয়। শিনহুয়া নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ওই সাফাইকর্মীরা কোভিড প্রোটোকল মেনে চলেননি। চিনের কমিউনিস্ট পার্টি থেকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে তিরস্কার করে বলা হয়েছে, তাদের কাজে পেশাদারিত্বের অভাব রয়েছে।
এখন নানজিং শহরে গণ হারে কোভিড টেস্টিং করা হচ্ছে। আংশিক লকডাউন জারি করা হয়েছে শহরে। শহরের প্রতিটি চেকপয়েন্টে বসেছে পাহারা। মানুষের ঢোকা-বেরোন নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে বন্ধ রাখা হয়েছে গণ পরিবহণ।