বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
নিত্যদিন ঝগড়া লেগেই থাকত স্ত্রীর সঙ্গে। স্বামী প্রতিজ্ঞা করলেন আর স্ত্রীর সাথে থাকবেন না। আবার বাড়ি ছেড়েও চলে যাবেন না অন্য কোথাও। তিতিবিরক্ত স্বামী ঝগড়া থেকে রেহাই পেতে ঘর বাঁধলেন ৮০ ফুট উঁচু বাড়ির তালগাছের টংয়ে। এমনই ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের মাউ জেলার কোপাগঞ্জে। গত একমাস ধরেই তালগাছেই রয়েছেন যুবক। অনেক আবেদন নিবেদন করেও তাঁকে তালগাছ থেকে নামিয়ে ঘরে ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
উত্তরপ্রদেশের মাউ জেলার কোপাগঞ্জের বাসিন্দা রাম প্রবেশের সাথে বেশ কয়েকমাস ধরেই বনিবনা হচ্ছে না তাঁর স্ত্রীর। সংসারে অশান্তি লেগেই রয়েছে। ঝগড়া নিত্যদিনের। তাই রাম প্রবেশ মনস্থির করলেন স্ত্রীর সঙ্গে আর থাকবেন না। আবার নিজের বসতভিটা ছেড়েও কোথাও যাবেন না। রামের অভিযোগ, ঝগড়া হলেই তাঁকে স্ত্রীর হাতে মার খেতে হয়। এক দিন সব সহ্যের সীমা পেরিয়ে যায়। রাগের বশে বাড়িরই উঠোনের কোণে লম্বা তালগাছে চড়ে বসেন তিনি। সেই যে উঠলেন, আর নামার নাম নেই। তার পর এক মাস কেটে গিয়েছে। রাম রয়ে গিয়েছেন গাছেই। ৮০ ফুট ওপরে তাঁর থাকার মতন একটা অস্থায়ী ঘর বানিয়ে ফেলেন। সেই ঘরেই গত একমাস ধরে রয়েছেন রাম প্রবেশ।
রামপ্রবেশের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, খিদে পেলে রাম উপর থেকে দড়ি ঝুলিয়ে দেন। তাতে খাবার বেধে দেন পরিবারের লোকেরা। রাম দড়ি টেনে সেই খাবার তুলে নেন। শুধুমাত্র প্রকৃতির ডাকে সারা দিতেই গাছ থেকে তিনি নামেন। পরে আবার উঠে পড়েন তালগাছে। রামকে গাছ থেকে নামানোর অনেক চেষ্টা করেছেন পরিবার ও প্রতিবেশীরা। কোন কিছুতেই কাজ হয়নি। তলব করা হয়েছিল কোপাগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশকে। পুলিশের আবেদনও শোনেননি রাম। অগত্যা ফিরে যেতে হয়েছে পুলিশকে। রামের স্পষ্ট কথা, সংসারে অশান্তির চাইতে গাছে থাকা অনেক ভাল।
তবে রাম প্রবেশের গাছে থাকা নিয়ে প্রতিবেশীদের তরফে বেশ কয়েকটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে স্থানীয় প্রধানের কাছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাম প্রবেশ গাছের ওপরে থাকার ফলে আশপাশের সব কিছুই দেখতে পান। এরফলে আশেপাশের বাড়ির মহিলাদের সম্মানহানি হচ্ছে। তাই দ্রুত তাঁকে নামিয়ে আনা হোক। গ্রাম প্রধান দীপক কুমার বলেন, ‘‘ গ্রামবাসীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে আমরা পুলিশকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ এসেও কিছুই করতে পারল না, এখন আমাদের কী করার আছে!’’