বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) : তেঁতুলিয়ায় শীতের তীব্রতায় পর্যটকের সমাগম কমেছে।
পঞ্চগড় জেলা ভ্রমণ পিপাষুদের অন্যতম আকর্ষণ হলো, তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো ও বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্ট। এছাড়া সমতলে সবুজ চা বাগান, কাঞ্জনবাঁশ, রওশনপুর মিনাবাজার এবং পঞ্চগড় সদরে অবস্থিত ভিতরগড় মহারাজার দিঘি, পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজে রকস্ মিউজিয়াম, আটোয়ারী মির্জাপুর শাহী মসজিদ, বারো আউলিয়া মাজার, হিমালয় পার্ক ইত্যাদি দেখতে আসেন।
বিশেষ করে তেঁতুলিয়া ডাকবাংলোর মহানন্দার তীরে দাঁড়িয়ে এশিয়ার মহাদেশের মধ্যে ২য় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্জনজঙ্ঘা ও হিমালয় পর্বতের ওপর ভারতের শহর দার্জিলিং খালি চোখে খুব কাছাকাছি অবলোকন করা যায়। তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো থেকে হিমালয় ও দার্জিলিং শহরের দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার এবং কাঞ্জনজঙ্ঘার দূরত্ব প্রায় ১২০ কিলোমিটার।
কাঞ্জনজঙ্ঘা বরফ আচ্ছাদিত পর্বতটি ভারতের সিকিম রাজ্য এবং নেপাল সীমানায় অবস্থিত এবং হিমালয় পর্বত ভারতে অবস্থিত। বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্ট ওপারে ভারত সীমান্তের ফুলবাড়ি, শিলিগুড়ি শহর অবস্থিত। ভৌগোলিক কারণে আকাশ পরিষ্কার থাকলে বছরে কমবেশি ছয় ঋতুতে কাঞ্জনজঙ্ঘা ও হিমালয়সহ দার্জিলিং শহরটি খালি চোখে সুনীল আকাশের নিচে খুব কাছাকাছি অবলোকন করেন পর্যটকরা।
যে কারণে পঞ্চগড়ে ভ্রমণের অন্যতম আকর্ষণ তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো। কিন্তু এ বছর আকাশে ঘনকুয়াশা থাকায় কাঞ্জনজঙ্ঘা পর্বত খুব বেশি দেখা যায়নি। গত নভেম্বর মাসে ২ থেকে ৩ দিন হালকা আবছা আবছা দেখা মিলেছে কাঞ্জনজঙ্ঘা। এছাড়া ডিসেম্বর মাসের শুরুর দিকে ১ থেকে ২ দিন দেখা গেছে। এরমাঝে অনেক পর্যটক তেঁতুলিয়া এসে কাঞ্জনজঙ্ঘা দেখতে পাননি।
বাংলাদেশ থেকে সারাবছর কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায় না। সাধারণত অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। তবে এর জন্য অবশ্যই আকাশ পরিষ্কার এবং মেঘ মুক্ত থাকতে হবে। কেবল সেই সময়ই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়।
উত্তবঙ্গের কয়েকটি জেলা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা গেলেও তেঁতুলিয়া থেকেই সব থেকে ভালো দেখা যায়। তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা, তেঁতুলিয়া বাইপাস, তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো, ভজনপুর করতোয়া সেতু ইত্যাদি ফাঁকা স্থান থেকেই দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। খুব সকালে মেঘ এবং কুয়াশামুক্ত আকাশে খালি চোখেই দেখা যায়। তবে পঞ্চগড়ের ভিতরগড় এলাকা থেকে সব থেকে ভালো দেখা যায়।