বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: বিশ্বজুড়ে প্রতি মাসে খাবারের দাম সবচেয়ে বেশি গতিতে বেড়েছে গেল এক দশকে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থা (এফএও) নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।
তারা জানিয়েছে,গেল বছরের ১২ মাসে ধারাবাহিকভাবে ঊর্ধ্বমুখী ছিল খাদ্যপণ্যের মূল্য।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, করোনাভাইরাস মহামারি ও লকডাউনের কারণে খাদ্যের উৎপাদন, পরিবহনের মতো বিষয়গুলো বাধাগ্রস্ত হওয়ায় খাদ্যের জোগান কমেছে।
এ অবস্থায় মুদ্রাস্ফীতি আরও বাড়তে পারে বলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধারও কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে।
বিশ্বজুড়ে খাদ্যের দাম বাড়া-কমা নির্ণয়ে বেশ কয়েকটি খাবারকে সূচক বা মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহার করে এফএও। এসব খাদ্যের মধ্যে আছে শস্য, তৈলবীজ, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য, মাংস, চিনি ইত্যাদি।
সূচক অনুযায়ী, চলতি বছরের মে মাসে এপ্রিলের তুলনায় খাদ্যের দাম বেড়েছে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০১০ সালের অক্টোবরের পর মাসের হিসাবে সবচেয়ে বেশি এ হার।
২০২০ সালের মে মাসের তুলনায় ২০২১ সালের মে মাসে খাদ্যের দাম ৩৯ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।
তেল, শস্য, চিনিসহ সূচকের পাঁচ মানদণ্ডের সবগুলোই ঊর্ধ্বমুখী।সব মিলিয়ে ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের পর খাদ্যের বাজার এখন সবচেয়ে অস্থিতিশীল। খরচ বৃদ্ধির কারণ হিসেবে কিছু দেশে জোগানের তুলনায় চাহিদার ব্যাপক বৃদ্ধিকে দায়ী করা হচ্ছে।
লকডাউনের প্রভাবে বাজার ও পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়ায় স্থানীয় পর্যায়ে পণ্যের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলে বেড়েছে মূল্য।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে দেশে লকডাউন শিথিল করে অর্থনীতি সচল করা হলেও উৎপাদনের তুলনায় চাহিদা বেশি থাকায় মুদ্রাস্ফীতিও বাড়তে পারে। যদিও কিছু কিছু খাত বেশ জোরেশোরেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
এফএওর পূর্বাভাস বলছে, চলতি বছর রেকর্ড পরিমাণ শস্য উৎপাদন হয়েছে। এতে মূল্যবৃদ্ধির চাপ একটু হলেও কমবে।