Home পরিবেশ দস্যুমুক্ত সুন্দরবন, অবাধ বিচরণ বাঘ হরিণের

দস্যুমুক্ত সুন্দরবন, অবাধ বিচরণ বাঘ হরিণের

গাজী আবুল বাশার, দাকোপ ( খুলনা) : অপরাধ ও প্রভাবশালীদের দৌরাত্ম কমায় স্বরূপে ফিরছে

সুন্দরবন। হরিণ-বাঘ শিকারীদের অপতৎপরতা কমতে শুরু করেছে। বিষ পার্টি ও অভয়ারণ্য এলাকায় এখন আর জেলেদের দেখা যায়না। পরিবেশ বন বিভাগের অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। তবে বিচ্ছিন্ন কিছু কিছু ঘটনা ঘটেনা তা’ অস্বীকার করেনি বনবিভাগ।
স্থানীয়রা জানান, সুন্দরবনের অবস্থা কয়েক বছরের ব্যবধানে অনেক উন্নতি হয়েছে। সচরাচর এখন আর কাঠ কাটতে দেখা যায়না কাউকে। লট ব্যবসায়ীদের অশুভ তৎপরতাও এখন আর নেই। জেলেদের সুন্দরবনে ঢুকে এখন আর জ্বালানি কাটতে দেখা যায় না। তারা এখন অনেক সচেতন।

জেলে কেনারুল সরদার জানান, সুন্দরবনে আগে প্রচুর পরিমাণে বিষ ব্যবহার হতো। এখন বিষের প্রকোপ প্রায়ই নেই বললে চলে। বিষের প্রাদুর্ভাবে এক সময় সুন্দরবনের মৎস্য সম্পদ শূণ্য হবার উপক্রম হয়েছিল তা’ এখন বনবিভাগের নিয়ন্ত্রণে। তবে এখনও কিছু দুষ্টু লোকেরা রয়েছে যারা সুযোগ সন্ধানে থাকে, কখন বিষের ব্যবহার করে ফায়দা লুটতে পারে।

তিনি আরও বলেন, জেলেদের সামনে এ দুষ্টুচক্র পড়লে তারা বিষয়টি বনবিভাগকে অবহিত করে। এ ব্যাপারে বনবিভাগ ও জেলেরা সচেতন রয়েছে। হরিণ শিকার ও বাঘ শিকারীদের দৌরাত্ম্যও কমতে শুরু করেছে। আগের মতো এখন আর লোকালয়ে হরিণের মাংস পাওয়া যায় না। ২/১ জন শিকারী থাকলেও তারা এখন মামলার ভয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করে না। এর বিরাট একটা অংশ বনদস্যুদের দ্বারা ধ্বংস হতো। কিন্তু সুন্দরবন বনদস্যু মুক্ত হওয়ার পর বাঘ ও হরিণ বিচরণ ক্ষেত্রগুলো বৃদ্ধি পেয়েছে। লোকালয়ের পাশে প্রচুর পরিমাণ হরিণ দেখা যায় এখন। বাঘের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

অভয়ারণ্যগুলোতে জেলেদের প্রবেশ চোখে পড়েনা। বনবিভাগও রয়েছে কড়া অবস্থানে। স্মার্ট টিমের অনবরত তদারকিতে সুন্দরবন ঘিরে মানুষের চিন্তা-চেতনা পরিবর্তন হতে শুরু করেছে।
সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগের খুলনা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক মোঃ আবু সালেহ জানান, সুন্দরবনকে পর্যটন শিল্পের আওতায় আনার জন্য পর্যায়ক্রমে ইকোটুরিজম সৃষ্টি করে বিদেশী ও দেশী পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কালাবগী অফিসের আশপাশ বালি ভরাট করা হয়েছে। শেখের টেকে ৫ ফুট উঁচু রাস্তা করা হয়েছে। সুন্দরবনের ভিতরে প্রবেশ করে যাতে করে সুন্দরবনের অপরূপ দৃশ্য উপভোগ ও এর পরিচিতি বিশ^ময় ছড়িয়ে দেয়া যায় এ ব্যাপারে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।