Home কৃষি দিনাজপুরে গাছে গাছে ঝুলছে পাকা লিচু

দিনাজপুরে গাছে গাছে ঝুলছে পাকা লিচু

মোঃ আজিজার রহমান: দিনাজপুরের  জেলার প্রতিটি উপজেলাতেই এবারে বাম্পার লিচু ফলন হয়েছে। মোট ৭ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে লিচুর বাগান রয়েছে। বাগানগুলোতে শোভাপাচ্ছে টস-টসে পাকা লিচু।
দিনাজপুর কৃষি অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক প্রদীপ কুমার গুহ লিচু সমারোহ ও অর্জিত লিচুর বিষয় নিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আমাদের দেশের সবচেয়ে লিচুর রাজ্য হিসেবে দিনাজপুর জেলা সুপরিচিত। যত দিন যাচ্ছে তত দিনাজপুরে লিচু চাষাবাদ বাড়ছে। প্রতি বছরই ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে লিচু চাষের জমির পরিমাণ। এখন সারাদেশে কম বেশি লিচু চাষ হলেও দিনাজপুরের লিচুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সাইদুর রহমান জানান, চলতি বছরে দিনাজপুর জেলায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে লিচু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। অতিরিক্ত ২৫০ হেক্টর জমিতে লিচুর উৎপাদন অর্জিত হয়ে মোট ৭ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ অর্জিত হয়েছে। দিনাজপুরের লিচু সুস্বাদু ও মিষ্টি হওয়ায় দেশব্যাপী এর চাহিদা রয়েছে। এবার দিনাজপুরের লিচু পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোতে রফতানি করা হবে।
তিনি আরো বলেন, দিনাজপুরের লিচুর মধ্যে চায়না থ্রি, বেদানা, বোম্বাই ও মাদ্রাজি, কাঠালী উল্লেখয্যেগ্য।
দিনাজপুরের যেসব স্থানে লিচু চাষ হয় তার মধ্যে সদর, বিরল, চিরিরবন্দর, বীরগঞ্জ, খানসামা উপজেলা বিখ্যাত।
খানসামা উপজেলার লিচু চাষি মোজাফফর চৌধুরী জানান, লিচুর ফুল আসা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই পরিচর্যা শুরু করে দিতে হয়। নিয়মিত স্প্রে ও সেচ দিয়ে লিচুর পরিপক্কতা আশায় লিচু পাকা শুরু করেছে।  প্রথমেই বোম্বে ও মাদ্রাজি লিচু বাজারে এসেছে। দেশী প্রজাতির এই লিচু প্রতি’শ ১৭০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী লিচুসমুহ বাজারে আসতে শুরু করবে। গত বছর সারা বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থাকায় এবং পবিত্র রমজান মাস হওয়ায় দিনাজপুর তথা খানসামার লিচু চাষী ও ব্যবসায়ীরা এখান থেকে বাইরে পাঠাতে পারেন নাই। সেজন্য লিচুর মন্দা ভাব ছিল। এবারে লিচু চাষী ও ব্যবসায়ীরা ভাল মূল্য পাওয়ার আশায় লিচু বাগানের পরিচর্যায় ব্যস্ত দিন অতিবাহিত করছেন।

 বিভিন্ন উপজেলার লিচু ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিগত বছরগুলোর তুলনা এবারে দিনাজপুরের লিচু ফলন অনেক বৃদ্ধি হয়েছে। দেশের চাহিদা অনুযায়ী লিচু পুরণ করে দেশের বাইরেও রপ্তানি করা যাবে বলে লিচু চাষীরা আশাবাদী।