Home First Lead কন্টেইনার জাহাজের দিনে দিনে বার্থ

কন্টেইনার জাহাজের দিনে দিনে বার্থ

শামসুল ইসলাম

চট্টগ্রাম: কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সিঙ্গাপুর, কলম্বো, চীনসহ বিশ্বের প্রসিদ্ধ বন্দরগুলোয় জাহাজ ও কন্টেইনার জট থাকলেও স্বস্তিতে রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। কন্টেইনার জাহাজশূন্য বন্দরের বহির্নোঙর। বন্দরে জাহাজ এসে দিনে দিনেই ভিড়তে পারছে জেটিতে। বন্দর ইয়ার্ডেও কমেছে কন্টেইনারের পরিমাণ।

বন্দর সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে ৭টি জাহাজ থেকে কন্টেইনার ওঠানো-নামানোর কাজ চলছিল। এ সময় বহির্নোঙরে কোনো জাহাজ ছিল না। মাত্র দুটি সাধারণ পণ্যবাহী জাহাজ ছিল বার্থিংয়ের অপেক্ষায়।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) এনামুল করিম বলেন, রপ্তানি পণ্য জাহাজীকরণ দ্রুত করতে কিছুদিন ধরে বন্দর জেটিতে কন্টেইনার জাহাজকে বার্থিংয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। স্বাভাবিক সময়ে জেটিতে একসঙ্গে ১০টি কন্টেইনার জাহাজ বার্থিং হলেও ওই সময় দেওয়া হয়েছে ১৩টি জাহাজ। এতে বন্দরে আমদানি পণ্য নিয়ে আসা কন্টেইনার জাহাজগুলো তুলনামূলক কম সময়ে রপ্তানি পণ্য নিয়ে বন্দর ছাড়তে পেরেছে। ফলে বহির্নোঙরে জাহাজের অপেক্ষমাণ সময়ও কমে গেছে। বর্তমানে সাধারণ পণ্যবাহী জাহাজকে জেটিতে বার্থিং পেতে একদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। কন্টেইনার জাহাজ দিনে দিনে জেটিতে ভিড়তে পারছে। এছাড়া, নির্ধারিত আইটেম ছাড়াও সব ধরনের আমদানি পণ্যবাহী কন্টেইনার অফডক থেকে খালাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সিদ্ধান্তে কন্টেইনার জট সৃষ্টি হয়নি। এতে জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে কন্টেইনার নামানোর কাজে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি। তিনি জানান, এখন সিঙ্গাপুর, কলম্বো, চায়না ও ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন বন্দরে একটি জাহাজ পণ্য খালাস করে বন্দর ছেড়ে যেতে ৮ থেকে ২০দিন সময় লাগছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের সময়োপযোগী পদক্ষেপে চট্টগ্রাম বন্দর পুরোপুরি স্বস্তিতে রয়েছে।

ঈদুল আজহার ছুটির পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় ২৩ জুলাই থেকে সরকারের তরফ থেকে কঠোর বিধিনিষেধ জারির পর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কন্টেইনার ডেলিভারির গতি শ্লথ হয়ে পড়ে। এ সময় বন্দরে বড় ধরনের কন্টেইনার জট সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এক অফিস আদেশে সব ধরনের আমদানি পণ্যবাহী কন্টেইনার বেসরকারি কন্টেইনার ডিপো থেকে খালাসের নির্দেশনা দেয়। এরপর থেকে জাহাজ থেকে নামানোর পর বন্দর থেকে সব কন্টেইনার সরাসরি বেসরকারি ডিপোতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বন্দরে থাকা কন্টেইনারগুলোও নিয়মিত ডেলিভারি হচ্ছে। এর ফলে বন্দরে কন্টেইনারের পরিমাণও কমে আসে।

বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোট ৪৯ হাজার ১৮ টিইইউস ধারণ ক্ষমতার বিপরীতে মঙ্গলবার সকালে বন্দর ইয়ার্ডে কন্টেইনারের পরিমাণ ছিল ৩৮ হাজার ১০৯ টিইইউস। অথচ ২৫ জুলাই বন্দরে কন্টেইনারের পরিমাণ ছিল সাড়ে তেতাল্লিশ হাজার টিইইউস।

-দেশ রূপান্তর