সারি সারি মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। তারই মধ্যে গুরুতর জখম এক শিশু কন্যা কাঁদছে। ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রবল আলোচিত। তার চিকিৎসা চলছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালে। সামাজিক যেগাযোগ মাধ্যমে ছবি প্রকাশের পর
তার অভিভাবকের সন্ধান পাওয়া গেছে। শিশুটির নাম নাইমা। তার চাচা মানিকের সাথে সাংবাদিকদের কথা
হয়েছে। শিশু নাইমার চাচা মানিক জানিয়েছেন, তিনি ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন। শিশু নাইমাকে নিয়ে সিলেট থেকে তার মা কাকলী ও দাদী উদয়ন এক্সপ্রেসে করে চাঁদপুরে ফিরছিলেন।
পথে দুর্ঘটনার শিকার হয় তাদের ট্রেন। মানিক জানান, নাইমার বাবা মাইনুদ্দিনও দুর্ঘটনার খবর পেয়ে চাঁদপুর থেকে বরাহ্মণবাড়িয়ার দিকে রওয়ানা দিয়েছেন। কিন্তু তারা কেউই নাইমার মায়ের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে পারছেন না। নাইমার মা ও দাদী কী অবস্থায় আছেন কিছুই জানতে পারছেন না তারা। দুটি ট্রেনের ধাক্কায় কয়েকটি কামরা দুমড়ে গিয়েছে। সেই কামরাগুলির একটিতে ছিল শিশুটি। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। বহু জখম যাত্রীর মাঝে কোনওরকমে বেঁচে যাওয়া শিশুটি আপাতত স্থিতিশীল। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় আহত অবস্থায় উদয়ন এক্সপ্রেসে ছিল সে।