Home অন্যান্য দু’শিশুকে বর্বর নির্যাতন

দু’শিশুকে বর্বর নির্যাতন

বিজনেসটুডে২৪ সংবাদদাতা

ঠাকুরগাঁও: পীরগঞ্জ উপজেলায় মোবাইল ফোন চুরির অপবাদ দিয়ে দুই শিশুকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের এক সপ্তাহ পরও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

সেনগাঁও ইউনিয়নের দেওধা গ্রামের এই ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শুক্রবার রাত ১১টায় পীরগঞ্জ থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় শিশু নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে মোতালেব আলী তারই প্রতিবেশি গৃহবধূ সরিফা খাতুনকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে সাড়া না দেওয়ায় চুরির অপবাদ দিয়ে গত ২২ মে স্থানীয় ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম, মোতালেব আলীসহ আর ৭ জন মিলে গৃহবধূর ছেলে শিশু সুমন ও তার ভাতিজা কমিরুল ইসলামকে আটক করে। এরপর তারা একটি শালিস বৈঠকের আয়োজন করে। শালিস বৈঠকে হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়গায় ওই দুই শিশুকে মারপিট করে ইউপি সদস্যসহ তার সহযোগিরা এবং মারপিটের সেই চিত্র ক্যামেরায় ধারণ করে।

পরে ভিডিও চিত্র গৃহবধূ সরিফা খাতুনকে দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে ইউপি সদস্য ও তার সহযোগিরা মিলে গৃহবধূকেও মারপিট ও শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। পরে গৃহবধূর বাড়ি থেকে একটি গরু নিয়ে যায় তারা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম বলেন, আব্দুল লতিফ নামে এক ব্যক্তির একটি মোবাইল ফোন চুরি করে ওই দুই শিশু। এর আগেও তারা নানা রকম অপরাধ করেছে। তা ছাড়া যার মোবাইল ফোন চুরি হয় তিনি  ক্ষুব্ধ হয়ে মারপিট করেছেন, আমি না। শরিফা আমার এবং মোতালেবসহ একই পরিবারের ৬ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করেছে ।

সেনগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলামসহ তার সহযোগীরা মিলে দুই শিশুকে হাত-পা বেঁধে যেভাবে নির্যাতন করেছেন।

পীরগঞ্জ থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় বলেন, আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।