বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
পাকিস্তান হাই কমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্ভাবনাময় হলেও আশানুরূপ নয়। এক্ষেত্রে উন্নতির সুযোগ রয়েছে। উভয় দেশের বেসরকারি খাতের মধ্যে আরও বেশি সম্পর্কোন্নয়নের জন্য একটি কমন প্ল্যাটফর্ম সৃষ্টির মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি মাহবুবুল আলম’র সাথে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরোও বলেন, পাকিস্তানে বাংলাদেশী পণ্যের এবং বাংলাদেশে পাকিস্তানি পণ্যের একক প্রদর্শনীর প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেন এবং প্রচলিত পণ্যের বাইরে নতুন নতুন পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে অন্তর্ভূক্তির আহবান জানান। বিশেষ করে ফার্মাসিউটিক্যালস, টেক্সটাইল ও তৈরিপোশাক খাতে পাকিস্তানি কাঁচামাল ব্যবহার করে ফিনিশড প্রোডাক্ট তৈরির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন,পাকিস্তানে গড় ট্যারিফ বাংলাদেশ থেকে কম হলেও উচ্চ শুল্কের কারণে বাংলাদেশী পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি করা সম্ভব হচ্ছে না। এক্ষেত্রে কোটা ও সংখ্যার সীমাবদ্ধতা, স্বাস্থ্য ও মানগত বাধ্যবাধকতা এবং পাকিস্তান সরকারি এজেন্সী কর্তৃক একচ্ছত্রভাবে আমদানি অন্যতম বাধা বলে তিনি মন্তব্য করেন।
চেম্বার পরিচালক এস. এম. আবু তৈয়ব সিপিইসি ব্যবহার করে কিভাবে লীড টাইম কমানোসহ ব্যবসায়ীরা লাভবান হতে পারে তার উপর একটি অনলাইন প্রেজেন্টেশনের অনুরোধ জানান।
অঞ্জন শেখর দাশ ধন্যবাদ জ্ঞাপন সূচক বক্তব্যে বলেন, ব্যবসায়ীরা আর্থিক লাভ এবং ব্যবসা করার সুযোগের উপর নির্ভর করে কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকে।
সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, চিটাগাং চেম্বার ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সমুদ্র পথে সরাসরি তুলা, ফেব্রিক্স ইত্যাদি আমদানি করা গেলে ব্যবসা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।
বিএসআরএম’র চেয়ারম্যান আলীহুসেইন আকবর আলী বলেন, উভয়দেশের রাষ্ট্রীয় শিপিং কর্পোরেশনের আওতায় স্বল্প ধারণক্ষমতার ভ্যাসেল এর মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে করাচি-চট্টগ্রাম সরাসরি জাহাজ চালানোর অনুরোধ জানান।