নয়ন দাস
কুড়িগ্রাম: ধরলা এবং ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিস্তা, গঙ্গাধর, দুধকুমারসহ সব নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। চরাঞ্চল এবং অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার নিচু বাড়িঘরে ইতোমধ্যে পানি উঠেছে।
চরাঞ্চলের সব বাড়ির চারদিক বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এসব এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। নৌকা আর ভেলায় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে হচ্ছে তাদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা ইউনিয়নের ইন্দ্রগড়, ধনিরামপুর, শৌলমারী, জালির চর, কাইয়ের চর, বল্লভের খাস ইউনিয়নের ইসলামের চর, চর কৃঞ্চপুর, কামারের চর, নারায়ণপুর ইউনিয়নের বেশিরভাগ চরাঞ্চল, নুনখাওয়া ইউনিয়নসহ সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
ভূরুঙ্গামারী, চিলমারী, রৌমারী, রাজিবপুরসহ উলিপুরের কিছু কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতি হয়েছে পাট, ভুট্টা ও সবজির। এ পর্যন্ত দুই উপজেলার পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে। যাতে ৩৭ হেক্টর আউশ, ৯৩ হেক্টর তিল এবং ৬ হেক্টর মরিচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসালম বলেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাত এবং উজানের ঢলে নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত পানির উচ্চতা ওঠানামা করবে। পানি বৃদ্ধির ফলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে।