বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: খুব কঠিন সময় অতিবাহিত করছে চট্টগ্রাম বন্দর। বিভিন্ন ইয়ার্ডে ধারণক্ষমতা ছুঁইছুঁই করছে।
বুধবার চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের ফেসবুক স্ট্যাটাসে এই তথ্য দিয়েছে। এতে বলা হয়, প্রতিদিন যেখানে সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টিইইউস কন্টেইনার ডেলিভারি হতো সেখানে তা নেমে এসেছে ৭০০/৮০০ টিইইউসে।
বন্দরের চট্টগ্রাম কন্টেইনার টার্মিনাল (সিসিটি) ও নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত সাইফপাওয়ারটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধিকে বলেন, ডেলিভারিতে যে অবস্থা তা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে বৃহস্পতিবারের পর অচলাবস্থা তৈরির সমূহ আশংকা রয়েছে। জানান, এখন বিভিন্নভাবে কন্টেইনার রাখার স্থানগুলোকে সর্বোচ্চ ব্যবহার করে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। বিরাজমান অবস্থায় দু’দিন পরে আর কোথাও ছিঁটেফোটা জায়গাও অবশিষ্ট থাকবে না।
কিছুক্ষণ আগে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বন্দরের ৫০ হাজার টিইইউস ধারণক্ষমতার বিপরীতে রয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার টিইইউস। আর দিনে জাহাজ থেকে নামছে প্রায় ৪ হাজার টিইইউস।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে বন্দর কর্তৃপক্ষ উল্লেখ করেছে, ‘প্রকৃতপক্ষেই চট্টগ্রাম বন্দর এখন খুব কঠিন সময় অতিবাহিত করছে। করোনা ভাইরাস জনিত কারণে সরকার কর্তৃক ঘোষিত ছুটির সময় কালেও চট্টগ্রাম বান্দরের অপারেশন ২৪/৭ চালু আছে। বিদেশ থেকে আগত জাহাজ থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩/৪ হাজার আমদানি কন্টেইনার বন্দরে নামানো হচ্ছে এবং কন্টেইনার সমূহ বন্দরের ইয়ার্ডের মধ্যে স্তুপ করে রাখা হচ্ছে। অন্যদিকে আমদানিকৃত কন্টেইনারে পণ্য ডেলিভারির কার্যক্রম খুবই কমে গেছে। আমদানিকৃত কন্টেনারের ডেলিভারি গ্রহণের পরিমাণ কমে যাওয়ায় বন্দরের অভ্যন্তরে কন্টেনারের পরিমাণ দিনে দিনে বাড়ছে এবং বন্দরের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ইয়ার্ডে কনটেইনার সংরক্ষণের ধারণক্ষমতা প্রায় ছুঁইছুঁই করছে। ইতিপূর্বে প্রতিদিন যেখানে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার কনটেইনারের পণ্য ডেলিভারি হতো বর্তমানে এর পরিমাণ ৭০০/৮০০ TEUs কনটেইনারের নেমে এসেছে। চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে প্রায় ৫০০০০ TEUs কনটেইনার সংরক্ষণের স্থান রয়েছে ডেলিভারির অপেক্ষমাণ কন্টেইনারে সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ৪৩ হাজার। আমদানিকারক, সিএনএফ এজেন্ট, শিপিং এজেন্ট,ব্যাঙ্ক এবং পণ্যের শুল্কায়ন ও ছাড়পত্র প্রদানকারী ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পৃক্ত সকল সরকারি সংস্থাসমূহ আরো উদ্যোগী হলে ডেলিভারির পরিমাণ বৃদ্ধি করা যেতে পারে। আমদানিকৃত পণ্য দ্রুত গ্রহণের মাধ্যমে বন্দরের অভ্যন্তরে স্পেস তৈরি হবে, বন্দরে আগত নতুন জাহাজ থেকে আরো কন্টেইনার পণ্য নামানো যাবে এবং করোনাভাইরাস জনিত কারণে উদ্ভূত এই পরিস্থিতিতেও দেশের লজিস্টিক সাপ্লাই চেইন যেমন সচল থাকবে এবং দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।’