মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে নওগাঁ জেলার জামায়াতের সাবেক আমির মো. রেজাউল করিম মন্টুসহ তিনজনকে মঙ্গলবার (৩১ মে) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। অপর দুই আসামি হলেন- নজরুল ইসলাম ও মো. শহিদ মণ্ডল। মামলায় তিন আসামির দুজন আটক ও একজন পলাতক রয়েছেন। ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর এ মামলার তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে মোট ৩১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে নওগাঁ জেলা জামায়াতের সাবেক আমির মো. রেজাউল করিম মন্টুসহ তিনজনকে মঙ্গলবার (৩১ মে) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। অপর দুই আসামি হলেন- নজরুল ইসলাম ও মো. শহিদ মণ্ডল। মামলায় তিন আসামির দুজন আটক ও একজন পলাতক রয়েছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিনজন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, আবুল কালাম আযাদ ও তাপস কুমার বল। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর এ মামলার তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে মোট ৩১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত তিনটি অভিযোগ
অভিযোগ-১: ১৯৭১ সালের ৭ অক্টোবর বিকেল আনুমানিক চারটা থেকে রাত সাড়ে সাতটা পর্যন্ত সময়ে অভিযুক্ত আসামিরা নওগাঁর বদলগাছী থানার পাহাড়পুর ইউনিয়নের রানাহার গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের নিরীহ-নিরস্ত্র বেসামরিক ব্যক্তি সাহেব আলী, আকাম উদ্দিন, আজিম উদ্দিন মণ্ডল, মোজাফফর হোসেনকে হত্যাসহ ১০-১২টি ঘরবাড়িতে লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগ করেন।
অভিযোগ-২: ১৯৭১ সালের ৮ অক্টোবর দুপুর আনুমানিক দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত সময়ে আসামিরা নওগাঁর বদলগাছী থানার পাহাড়পুর ইউনিয়নের খোজাগাড়ী গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের নিরীহ-নিরস্ত্র মো. নুরুল ইসলামকে হত্যা করে। ১৫-২০টি বাড়ি লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগ করেন তারা।
অভিযোগ-৩: ১৯৭১ সালের ৮ অক্টোবর আনুমানিক বিকেল পাঁচটা থেকে পরদিন অর্থাৎ ৯ অক্টোবর আনুমানিক বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সময়ে নওগাঁর বদলগাছী থানার পাহাড়পুর ইউনিয়নের মালঞ্চা গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের মো. কেনার উদ্দিন ও মো. আক্কাস আলীকে অবৈধভাবে আটক করে নির্যাতন করে। পরে অপহরণ করে জয়পুরহাটের কুঠিবাড়ি ব্রিজে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। একই সময় আসামিরা ৪০-৫০টি বাড়ি লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগ করেন।