মোরশেদুল ইসলাম, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে: ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শামীম সিদ্দিকীর (ক্লাস প্রতিনিধি) জন্ম পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলার অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের শিক্ষক ড. শেখ মেহেদি হাসানের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টায় লাইভে এসে শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, তার বাবা কি করেন, পদ কি। বয়স কতো। আর সবশেষে তার জন্মের পরিচয় নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। এমনকি ছাত্র রাজনীতি করে এই বিভাগে লাভ হবে না বলেও মন্তব্য করার অভিযোগ এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
শিক্ষকের দ্বারা এমন হেনস্তার শিকার হয়ে ১০ টি ঘুমের ট্যাবলেট খায় ওই শিক্ষার্থী।
বিষয়টি অবগত হওয়ার পর শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা ত্রিশালের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে।
বিষয়টি অবগত হওয়ার পর ত্রিশাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্র পরামর্শক ড. তপন কুমার সরকার, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সিকিউরিটি অফিসার।
এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ড. শেখ মেহেদি হাসান বলেন,” এটা চংক্রান্ত। এমন কিছুই আমি করিনি।”
বিভাগটির প্রধান অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হুদা বলেন, “আগে শিক্ষার্থীকে সুস্থ করে তুলি পরে অন্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া যাবে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন, “প্রথমে আমরা আমাদের শিক্ষার্থীর চিকিৎসা নিশ্চিত করে সুস্থ করে তুলি।এরপর এই বিষয়ে শিক্ষার্থীর সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গাড়ীর টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।