Home জাতীয় নতুন প্রজন্মকে বইয়ে উৎসাহী করে তুলতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

নতুন প্রজন্মকে বইয়ে উৎসাহী করে তুলতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

অমর একুশের বইমেলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের নতুন প্রজন্মের সুস্থ মানসিক বিকাশের জন্য তাদেরকে সৃজনশীল বই পড়ার ব্যাপারে উৎসাহী করে তুলতে হবে। কেননা, মানসিকভাবে সুস্থ প্রজন্মই পারে একটি দেশ ও জাতিকে সার্বিকভাবে উন্নত করে তুলতে।
আজ সোমবার বিকেলে এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনাসিয়াম হলে চট্টগ্রামে অমর একুশের বইমেলা উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার লক্ষ্য হচ্ছে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে মেধা, মনন ও অর্থনৈতিকভাবে উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে নিয়ে যাওয়া। আমরা আরো আগেই এ লক্ষ্য অর্জন করতে পারতাম। গত ১১ বছরে দেশ আরো বহুদূর এগিয়ে যেতে পারতো, যদি দেশে নেতিবাচক ও সংঘাতের রাজনীতি না থাকতো।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন নিয়ে বিএনপির বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে নালিশ জানানোর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন নির্বাচন নিয়ে তাদের যদি নালিশ থাকলে তারা নির্বাচন কমিশনে যেতে পারতো, আদালতে যেতে পারতো। ভোটারদের কাছে নালিশ জানাতে পারতো। কিন্তু তা না করে বিদেশিদের কাছে নালিশ দিয়ে বিদেশে বিএনপি দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা করছে এবং এটা তারা বারবারই করছে। তারা বিদেশি রাষ্ট্রগুলোকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ করে দিতে চায়। এটি কখনো আমাদের দেশের জন্য সম্মানজনক নয়। তিনি এ ধরণের কর্মের মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে আর ছোটো না কার জন্য বিএনপির প্রতি অনুরোধ জানান।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মতো সম্মিলিত বইমেলা আয়োজনের জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে ড. হাছান বলেন, আগে বিক্ষিপ্ত বিচ্ছিন্নভাবে বইমেলা হতো। এতে সাধারণ্যের মধ্যে আগ্রহ কম ছিল। গতবছর থেকে সবাইকে নিয়ে মেলা আয়োজনের কারণে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। এবারের মেলা গতবারের চেয়েও গোছানো বলে তিনি মন্তব্য করেন। একটি সময় এটি ঢাকার বইমেলার মতো অনেক বড় আঙ্গিকে আয়োজন হবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বাংলা একাডেমি চত্বরে চাদর বিছিয়ে বইমেলার যাত্রা শুরু হয়েছিল। এখন সেখানে ৮ লক্ষ বর্গফুট এলাকজুড়ে মেলা হচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে মেয়র বলেন, চট্টগ্রামে এটি দ্বিতীয় সম্মিলিত মেলা। ভবিষ্যতে এ মেলাকে আরো বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি শিক্ষার্থীদের বই পড়তে উৎসাহী করে তুলতে মন্ত্রীর পরামর্শকে সাধুবাদ জানিয়ে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুদ্দোহা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক ও মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম নিপু।
এর আগে, জিমনাসিয়াম প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে ২০ দিনব্যাপী অমর একুশে বইমেলা ২০২০-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

-বাসস