Home চট্টগ্রাম নব্য জেএমবির আরও ৬ সদস্য গ্রেপ্তার

নব্য জেএমবির আরও ৬ সদস্য গ্রেপ্তার

 

চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর দুই নম্বর গেট এলাকায় পুুলিশ বক্সে বিস্ফোরণের ঘটনায় নব্য জেএমবির আরও ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত দুই দিন চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট তাদের গ্রেপ্তার করে।

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) বিকেল থেকে বুধবার (১৪ অক্টোবর) ভোর পর্যন্ত নগরীর একাধিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম) আসিফ মহিউদ্দিন এ তথ্য জানিয়ে বলেন, পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের এলআইসি শাখার গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একটি চৌকস টিম এই ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করে।

তিনি আরও বলেন, আসামিরা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন নব্য জেএমবির সদস্য। সংগঠনের আদর্শ বাস্তবায়ন ও শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠার জন্য স্থানীয়ভাবে দলবদ্ধ হয়ে তারা সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

গ্রেপ্তার ছয় আসামি হলো চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আব্দুর শুক্কুরের ছেলে মহিদুল আলম (২৪), একই উপজেলার ওসমান গনির ছেলে মো. জহির উদ্দিন (২৮), একই উপজেলার পদুয়া এলাকার শাহাবুদ্দিনের ছেলে মো. মঈন উদ্দিন (২০), একই এলাকার নুরুল কবিরের ছেলে মো. আলা উদ্দিন (২৩), একই উপজেলার মৌলভীপাড়া এলাকার আবুল হাশেমের ছেলে মো. আবু সাদেক (১৯) ও উত্তর আমিরাবাদ এলাকার সালেহ আহম্মদের ছেলে রহম উল্ল্যাহ প্রকাশ আকিব (২৪)।

আসিফ মহিউদ্দিন বলেন, গ্রেপ্তার ছয় জনের মধ্যে মহিদুল আর জহিরকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বান্দরবান থানাধীন কলাবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঈন, সাদেক ও আকিবকে একই দিন বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সাতকানিয়া উপজেলার কেরানিরহাট কাঁচাবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর আসামি আলা উদ্দিনকে ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে লোহাগাড়া থানাধীন দরগামুড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে ছয় জনই পুলিশ বক্সে বোমা বিস্ফোরণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এদের মধ্যে সাদেক বোমাটি পুলিশ বক্সের ভেতরে রেখে আসে। আকিব বোমা তৈরিতে দক্ষ বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। তথ্যগুলো আমরা খতিয়ে দেখছি।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার ষোলশহর দুই নম্বর গেট এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দুই ট্রাফিক পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে পাঁচ জন আহত হন। এ ঘটনায় ট্রাফিক পরিদর্শক অনিল বিকাশ চাকমা বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন।

-বাংলা ট্রিবিউন