গত শুক্রবার দিল্লির জামা মসজিদ চত্বরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে গিয়েছিল। এই শুক্রবারও জুম্মার নামাজের পর ছবিটা বদলাল না। নয়া নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন জারি দিল্লিতে। জামা মসজিত চত্বরে কয়েকশো মানুষ বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী।
যে উগ্র বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল তা অনেকটাই শান্ত হয়েছে। তবে আন্দোলন চলছে মিটিং, মিছিল, অবস্থান, স্লোগানের মাধ্যমে। যেমন দিল্লির একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ অবস্থান চলছে। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের অবস্থান চলছে ক্যাম্পাসের অদূরেই। বিক্ষোভ চলছে যেএনইউ ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরেও। এদিন দেখা গেল জামা মসজিদের বাইরেও বিক্ষোভ শুরু হয়। বিকেলে একটি মিছিল হওয়ারও কথা রয়েছে।
গত শুক্রবার নামাজ শেষ হতেই নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে জামা মসজিদ চত্বর। ভীম আর্মির তরফে জামা মসজিদ থেকে যন্তরমন্তর পর্যন্ত মিছিলের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা না মেলায় মসজিদের সামনের রাস্তাতেই উত্তাল বিক্ষোভ শুরু হয়। উপস্থিত ছিলেন ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদও। পরিস্থিতি সামাল দিতে দিল্লির তিনটি মেট্রো স্টেশনে ঢোকা-বেরনো বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় রাজধানীর মেট্রো পরিষেবা। ‘জয় ভীম’ স্লোগানে মুখরিতহয়ে ওঠে মসজিদ চত্বর। হাতে সংবিধান নিয়ে বক্তৃতা শুরু করতেই চন্দ্রশেখর আজাদকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। তারপর হাত ফস্কে পালিয়েও যান চন্দ্রশেখর। পরে ফের তাঁকে আটক করে পুলিশ। সব মিলিয়ে আন্দোলনের রাস্তাতেই ভারতের রাজধানী।